নিজস্ব প্রতিবেদক::চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লি.’র সকল সদস্য, প্লট মালিক, ফ্ল্যাট মালিকদের বকেয়া চাঁদা আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে পরিশোদের আনুরোধ জানিয়েছে সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি।
ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি স্বপন মল্লিক, সম্পাদক হাসান ফেরদৌস এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, গত ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সদস্য চাঁদা, প্লট – ফ্ল্যাট মালিকদের বকেয়া চাঁদা, উন্নয়ন ফি, হস্তান্তর ফি সহ সমিতির সকল বকেয়া ৩০ অক্টোবরে মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। বার্ষিক সাধারণ সভায় শেরশাহ সাংবাদিক হাউজিং এলাকায় প্লট মালিকদের মাসিক চাঁদা (সাংবাদিক)-১০০ টাকার স্থলে ১৫০টাকা, অসাংবাদিক প্লট মালিক-৫০০টাকা, ফ্ল্যাট মালিকদের মাসিক চাঁদা-৩০০ টাকা, প্লট হস্তান্তর ফি-৫লাখ টাকা, ফ্ল্যাট হস্তান্তর ফি-২লাখ ৫০হাজার টাকা পুণ: নির্ধারণ করা হয়। আগামী ১লা নভেম্বর ২০১৭ থেকে পুণ:নির্ধারিত ফি কার্যকর হবে বলে জানান নেতৃবৃন্দ।
সভায় ইজারা চুক্তির শর্ত লংঘন করে শেরশাহ সাংবাদিক হাউজিং এলাকায় সব ধরনের প্লট-ফ্ল্যাট ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ, ইজারা চুক্তি শর্ত অনুযায়ী শেরশাহ সাংবাদিক হাউজিং এলাকায় ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ মধ্যে খালি প্লটে স্থাপনা নির্মাণের জন্য প্লট মালিকদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। সমিতির আবাসন প্রকল্পে স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা, বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুসরণ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ শেরশাহ সাংবাদিক হাউজিং এলাকায় প্লট-ফ্ল্যাট মালিকদের মালিকানা সংক্রান্ত দলিল, খতিয়ান, নামজারি কাগজসহ সকল বৈধ কাগজপত্র ৩১ অক্টোবর ২০১৭ মধ্যে সমিতি অফিসে জমা দিতে অনুরোধ জানানো হয়।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সমিতির আবাসন প্রকল্পে বরাদ্দপ্রাপ্তরা সম্পত্তি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে অনমুতি না নিয়ে বেআইনি ভাবে হস্তান্তর করছেন, যা সমবায় সমিতি আইন ২০০১ এর ৪২ ধারার পরিপন্থী। সমিতি থেকে বরাদ্দ প্রাপ্ত কোন কোন প্লট মালিক আমমোক্তারনামার মাধ্যমে প্লট হস্তান্তর এবং কেনা-বেচার মাধ্যমে একদিকে যেমন সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন তেমনি সমিতিকে হস্তান্তর ফি না দিয়ে আইন লংঘন করেছেন। এ ধরনের কর্মকান্ড পরিহার করে সবাইকে আইনের প্রতিশ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহবান জানান নেতৃবৃন্দ।