সহিংসতা নিয়ে ট্রাম্পের বক্তব্যে ক্ষুদ্ধ সমর্থকরা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: ভার্জিনিয়ার শার্লোটসভিলে সহিংসতার জন্য উভয় পক্ষকে দায়ী করে বক্তব্য দেয়ার ফলে মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপর ক্ষেপেছেন খোদ তার সমর্থক দল রিপাবলিকানের নেতা কর্মীরা। সোমবার শার্লোটসভিলে সহিংসতার জন্য উগ্র শ্বেতাঙ্গবাদীদের নিন্দা জানানোর পরদিনই নিজের বক্তব্য থেকে সরে আসেন তিনি। বলেন, শ্বেতাঙ্গদের ওপর হামলার জন্য বামপন্থি বিক্ষোভকারীরাও দায়ি।
শার্লোটসভিলে শনিবারের ওই হামলায় ১ জন নিহত ও বহু মানুষ আহত হন। পরিস্থিতি জাতিগত দাঙ্গায় রূপ নেয়ায় জরুরী অবস্থা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন।
শার্লোটসভিলে সহিংতার জন্য উগ্র শ্বেতাঙ্গদের নিন্দা জানাতে দেরি হওয়াতেও ট্রাম্পের সমালোচনা করেছে রিপাবলিকানরা। বক্তব্যের বিলম্বের জন্য অবশ্য ট্রাম্পের যুক্তি ছিল, পরিষ্কারভাবে ঘটনার বিস্তারিত না জেনে কোনো মন্তব্য করা ঠিক নয়। ফলে সেখানেও দায়িত্বহীনতার প্রমাণ দেখছে রিপাবলিকান নেতারা।
ভার্জিনিয়ার শার্লোটসভিলে উগ্র শ্বেতাঙ্গদের সমাবেশকে ঘিরে সৃষ্ট সহিংসতার দু’দিন পর সোমবার এর নিন্দা জানান ট্রাম্প।
ভার্জিনিয়ার শার্লোটসভিলে যুক্তরাষ্ট্রের গৃহযুদ্ধের সময় দাসপ্রথা টিকিয়ে রাখার পক্ষে নেতৃত্ব দেয়া শ্বেতাঙ্গদের কনফেডারেট বাহিনীর জেনারেল রবার্ট ই লিয়ের ভাস্কর্য অপসারণের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদীরা। যার বিরোধীতায় বর্ণবাদবিরোধীরা মাঠে নামলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
সমালোচকেরা দাবি করছিলেন, কট্টরপন্থী ট্রাম্পের পরোক্ষ উস্কানি পেয়েই এমন সমাবেশের সাহস পেয়েছে শ্বেতাঙ্গ উগ্রপন্থীরা। এই অভিমতকে সত্যি প্রমাণ করতেই মঙ্গলবার সম্ভবত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলে বসেন, যারা ভাস্কর্য রক্ষার পক্ষে বিক্ষোভ করছে তাদের মধ্যে অনেক ভালো মানুষও রয়েছেন।
ফলে বর্ণবাদ এবং মানবাধিকার কর্মীরা তার এই বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন। এখন পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ শুধু তারাই করছেন না, তার সমর্থক দল রিপাবলিকানও করছে। এরই মধ্যে দলের ৫৫ জন নেতা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ফেলেছেন। আর বিরোধী ডেমোক্রেটরা তো বড় ধরনের ইস্যুই পেয়ে গেছে।