আসন্ন পবিত্র রমজান মাসকে উপলক্ষে করে অতি প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের অবৈধ মজুদ ঠেকাতে এবং বাজার নিয়ন্ত্রণে বৃহস্পতিবার থেকে মাঠে নামছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার থেকে দুজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে দুটি আদালত নগরীর পৃথক জোনে অভিযানে মাঠে থাকবে। দুই একদিনের মধ্যে অভিযানকারী টিমের সংখ্য হবে পাঁচটি। রমজান শুরু হলে এই ভ্রাম্যমাণ আদালতের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করা হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক জানান, রমজান মাসকে ঘিরে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী রমজানের নিত্য প্রয়োজনীয় ছোলা, ডাল, চিনি, পেঁয়াজসহ অন্যান্য ভোগ্য পণ্যের কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে মূল্য বৃদ্ধি করার অবৈধ পন্থায় লিপ্ত হয়।
সাম্প্রতিক এক হিসেবে রমজানে চিনি, ছোলা, পেঁয়াজ এবং ভোজ্য তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর দাম বাড়িয়ে অন্তত ৫০০ কোটি টাকা বাজার থেকে তুলে নেওয়ার মিশনের খবর প্রকাশিত হয়।
রমজান উপলক্ষে প্রচুর পণ্য আমদানি এবং মজুদ রাখা হলেও প্রতি বছরই রমজানের আগে বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠে।
ব্যবসায়ীরা কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় ভোক্তাদের পকেট থেকে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যগুলো দেশের হাজার হাজার দোকানে বিক্রি করা হলেও এগুলোর আমদানিকারকের সংখ্যা খুব বেশি নয়। হাতে গোনা কয়েকজন ব্যবসায়ী দেশের পুরো বাজার নিয়ন্ত্রণ করে।
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম না বাড়লেও চট্টগ্রামের চাক্তাই খাতুনগঞ্জের কয়েকজন ব্যবসায়ীর ইচ্ছা-অনিচ্ছার
ওপর রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য উঠা-নামা করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এই অবস্থায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সকাল থেকে নগরীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ শুরু করবে। শুরুতে আজ দুটি টিম গঠন করে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলোতে পাঠানো হচ্ছে। আগামী দুই একদিনের মধ্যে মোবাইল টিমের সংখ্যা পাঁচটিতে উন্নীত করা হবে। রমজানের শুরুতেই এই সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে বলে নিশ্চিত করেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন।
জেলা প্রশাসক আরো জানান, দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করা হবে। সরকার দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল এবং ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে বদ্ধপরিকর।