আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে মুদ্রা পাচার আইনে মামলা

0

সিটিনিউজ ডেস্ক:: চোরাচালানের মাধ্যমে প্রায় ১৫ মণ স্বর্ণ ও ডায়মন্ড আমদানি এবং এসব মূল্যবান সামগ্রী কর নথিতে অপ্রদর্শিত ও গোপন রাখার অভিযোগে আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনে পাঁচটি মামলা করেছে শুল্ক গোয়েন্দা। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শনিবার রাজধানীর গুলশান থানায় দুটি (মামলা নং ১৫ ও ১৬, তারিখ ১২/০৮/২০১৭), ধানমন্ডি থানায় একটি (মামলা নং ১০, তারিখ ১২/০৮/২০১৭), রমনা থানায় একটি (মামলা নং ২৭, তারিখ ১২/০৮/২০১৭) ও উত্তরা থানায় একটি (মামলা নং ১৭, তারিখ ১২/০৮/২০১৭) সহ মোট পাঁচটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শুল্ক গোয়েন্দার পাঁচজন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা যথাক্রমে এম. আর জামান বাধন, বিজয় কুমার রায়, মো. শাহরিয়ার মাহমুদ, মোহাম্মদ জাকির হোসেন এবং মো. আরিফুল ইসলাম মামলাগুলোর বাদী।

ড. মইনুল খান বলেন, মামলার অভিযুক্তরা হলেন আপন জুয়েলার্সের মালিকপক্ষ তিনজন- দিলদার আহমেদ সেলিম, গুলজার আহমেদ এবং আজাদ আহমেদ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনার আলোকে শনিবার এই মামলাগুলো করা হয়।

অর্থপাচার প্রতিরোধ আইন-২০১২ (সংশোধনী ২০১৫) এর ধারা ২ (ঠ) এবং কাস্টমস অ্যাক্ট-১৯৬৯ এর ধারা ১৫৬(৫) অনুযায়ী শুল্ক গোয়েন্দা এই অর্থপাচার মামলাগুলোর তদন্ত করবে।

এর আগে আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে শুল্ক-করাদি ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে স্বর্ণালঙ্কার মজুদ করার অভিযোগে দি কাস্টমস অ্যাক্ট-১৯৬৯ অনুযায়ী কাস্টম হাউস ঢাকায় পাঁচটি কাস্টমস মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

এছাড়াও স্বর্ণালঙ্কার মজুদ, মেরামত, তৈরি, বিক্রয়সহ বিভিন্ন পর্যায়ে সংঘটিত ভ্যাট ফাঁকি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটগুলো কাজ করছে।

পাশাপাশি আয়কর নথিতে অপ্রদর্শিত স্বর্ণ দেখানোর কারণে সংশ্লিষ্ট আয়কর জোনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

চোরাচালান, শুল্ক ফাঁকি, অর্থপাচার, ভ্যাট ফাঁকি, আয়কর ফাঁকি ইত্যাদি বিভিন্ন উপায়ে জ্ঞাত আয়-বহির্ভূতভাবে অবৈধ সম্পদ অর্জনজনিত দুর্নীতি হওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইনে ব্যবস্থা নিতে ইতিমধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে দুদকে প্রেরণ করা হয়েছে।

ড. মইনুল বলেন, আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষ চোরাচালানের মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনীত স্বর্ণের অর্থ অবৈধভাবে ব্যবহার করেছেন। একইসঙ্গে অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের সঠিক পরিমাণ আয়কর নথিতে প্রদর্শন না করে এর উৎস গোপন করেছেন।

তিনি বলেন, এসব কার্যকলাপ অর্থপাচার প্রতিরোধ আইন-২০১২ (সংশোধনী ২০১৫) এর ধারা- ২ এর (ফ)(ই) এবং ২(শ)(১৮) অনুযায়ী অর্থপাচার হিসেবে বিবেচিত যা একই আইনের ধারা-৪ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য।

উল্লেখ্য, বনানীর একটি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শোরুম থেকে প্রায় ১৫ মণ স্বর্ণের ও ডায়মন্ডের অলঙ্কার জব্দ করা হয়। পরে এসব অলঙ্কার বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয়া হয়।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.