ওয়ানডেতে জ্বলে ওঠার প্রত্যাশা

0

স্পোর্টস ডেস্ক: টেস্ট সিরিজের দুঃস্বপ্ন পেছনে ফেলে ওয়ানডে সিরিজে জ্বলে উঠতে পারবে মাশরাফির দল? বলা মুশকিল। দক্ষিণ আফ্রিকায় কখনোই ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ, আগের সফরগুলো ছিল ব্যর্থতা আর হতাশায় ভরা। এবার ‍দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজেও বিন্দুমাত্র লড়াই করতে পারেনি। তবে আগে পারেনি বলে যে এবার পারবে না, এমন নয়। টাইগাররা ফিরছে তাদের প্রিয় ফরম্যাট ওয়ানডে ক্রিকেটে, দলের হাল ধরতে ফিরেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা আর সাকিব আল হাসান। আজ প্রথম ওয়ানডেতে আশাবাদী হওয়াই যায়! কিম্বার্লির ডি বিয়ার্স ডায়মন্ড ওভালে খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা দুইটায়।

তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের আগে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচ অবশ্য আশার বাণী শোনাতে পারেনি। গত বৃহস্পতিবার ব্লুমফন্টেইনে দক্ষিণ আফ্রিকা আমন্ত্রিত একাদশ জিতেছে হেসেখেলে, ২১ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে। ওই ম্যাচে টাইগারদের প্রাপ্তি বলতে সাকিব আর সাব্বির রহমানের হাফসেঞ্চুরি। কিন্তু অন্য ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা আর বোলারদের অনুজ্জ্বল পারফরম্যান্স থেকে ইতিবাচক দিক খুঁজে পাওয়াই ভার।

সন্দেহ নেই, বাংলাদেশ এ মুহূর্তে ভীষণ চাপে। টেস্ট সিরিজের ব্যর্থতা তো আছেই, সঙ্গে যোগ হয়েছে টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম আর বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের কথার লড়াইয়ের অস্বস্তি। মাশরাফির সামনে তাই ভালো খেলার পাশাপাশি দলকে এক সুতোয় বাঁধার কঠিন চ্যালেঞ্জ।

অবশ্য যে কোনও চ্যালেঞ্জ জয় করার ক্ষমতা যে আছে, মাশরাফির দল তা বারবার প্রমাণ করেছে। গত জুনের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির কথাই ধরা যাক। কার্ডিফে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৬৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে সাকিব আর মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরিতে রচিত হয়েছিল অবিস্মরণীয় জয়। বছর দুয়েক আগে এই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে প্রথম ওয়ানডেতে হার মেনেছিল টাইগাররা। তবে পরের দুই ম্যাচ সহজেই জিতে প্রোটিয়া-বধের মধুর স্বাদ পেয়েছিল।

যদিও দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানো শুধু কঠিন নয়, বাংলাদেশের জন্য আজও স্বপ্নের মতো। টাইগাররা আজ পর্যন্ত প্রোটিয়াদের তাদের মাটিতে কোনও ম্যাচে হারাতে পারেনি। আজ কিম্বার্লিতে অতিথিরা জিতলে তাই রচিত হবে ইতিহাস।

মাঠের লড়াইয়ের আগে সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা তামিম ইকবালকে নিয়ে। পায়ের পেশির চোট দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে দেয়নি বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যানকে। আজ খেলবেন কিনা, ম্যাচের আগের দিনও তা অনিশ্চিত ছিল। মাশরাফি জানিয়েছেন, তামিমের বিষয়ে ম্যাচের আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে তামিম থাকুক বা না থাকুক, শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলার লক্ষ্য ওয়ানডে অধিনায়কের। মাশরাফির বিশ্বাস, আক্রমণাত্মক ক্রিকেট দিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকায় সাফল্য পাওয়া সম্ভব।

টেস্ট ক্রিকেটের ব্যর্থতা ভুলে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে পারে কিনা, তা দেখার অপেক্ষায় টাইগার-ভক্তরা।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.