ঔষধ ব্যবসার সমস্যা নিরসনে নেতৃবৃন্দদের মতবিনিময় সভা

0

নিজস্ব প্রতিবেদক::বাংলাদেশ কেমিষ্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতি চট্টগ্রাম শাখার উদ্যোগে আয়োজিত ‘‘ঔষধ ব্যবসার বিরাজমান সমস্যা নিরসন কল্পে কেমিষ্ট নেতৃবৃন্দের সাথে ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় নগরীর ষ্টেশন রোডস্থ মোটেল সৈকতের হালদা হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ কেমিষ্টস্ এন্ড ড্রাগিষ্টস্ সমিতি চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি বাবু সমীর কান্তি সিকদার। ড্রাগিষ্টস্ সমিতির চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক লায়ন আশীষ কুমার ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, সমিতির সহ-সভাপতি আব্দুল গনি, সহ-সভাপতি তপন বিশ্বাস, সিনিয়র সদস্য জাকির হোসেন, সদস্য মানিক দে, মহসীন চৌধুরী, মহসীন উদ্দিন, সুনিল চৌধুরী, বাবুল লালা, অশোক দাশ, নূর আলম সিদ্দিকী, সুরেশ বড়ৃয়া, মো. বেলায়েত, বাদল কারণ, কাজল দাশ গুপ্ত, প্রশান্ত পান্ডে, সুমিত বড়ৃয়া, মো. মুছা প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, ঔষধ ব্যবসার বনেদী বাজার হিসেবে খ্যাত হাজারী গলির পাইকারী বাজার কথিত ব্রোকারদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন স্যাম্পল ঔষদের পাতায় আগে “নট ফর সেল” লেখা থাকলেও বর্তমানে ২/১টি কোম্পানি ছাড়া বাকী কোম্পানী গুলো সেই লেখা তুলে দিয়েছে। যার কারনে স্যাম্পলের ঔষধ গুলো বাজারে ডুকে যাচ্ছে।

বক্তারা আরো বলেন, খুচরা ব্যবসায়ীরা জনসেবা করে আর ক্লিনিক গুলোর অবস্থা জনগণ জানে। অথচ ঔষধ কোম্পানী গুলো বিভিন্ন ক্লিনিক ও মেডিক্যালে ৩০% দিয়ে ঔষধ সরবরাহ করে। পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ীদের দেয়া হয় ৩%-৮%।

বক্তারা ব্যবসায়ীদের প্রতি এ বৈষম্য দূর করার জন্য ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। বিসিডিএসের চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি বাবু সমীর কান্তি সিকদার তার স্বাগত ও সমাপনী বক্তব্যে ঔষধ বিক্রিতে বিভিন্ন কোম্পানীর বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, হাজারী গলিতে কোম্পানীর ঔষধে ৩% পাওয়া যায়। আর ব্রোকারদের কাছে তা ১০-১৫% পর্যন্ত পাওয়া যায়। তিনি এই ব্রোকাররা এ ঔষধ কোত্থেকে পায় কোম্পানীর কর্মকর্তাদের কাছে প্রশ্ন করেন। বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতি ও বাংলাদেশ ড্রাগিষ্টস্ সমিতির মধ্যে ১৯৯৫ সালে সম্পাদিত চুক্তি মোতাবেক কোম্পানীর ট্রেড মূল্যের উপর ১৬% ও পাইকারদেও জন্য অতিরিক্ত ৩% ডিসকাউন্ট পুনারয় চালু দাবী জানিয়ে ড্রাগিষ্টস্ সমিতির চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক লায়ন আশীষ কুমার ভট্টাচার্য বলেন, ব্যবসায়ীদের সুনিদিষ্ট দাবী গুলো এক মাসের মধ্যে পূরণ করতে হবে। আমরা চাইনা এই সুন্দর সম্পর্ক তিক্ততায় রূপ নিক। ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়া ঔষধ বিক্রয় বন্ধ করার দাবী জানিয়ে বলেন, ঢাকা থেকে অনেক ভেজাল ঔষধ আসছে। এতে করে আমাদের কেমিষ্টরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

সভায় উপস্থিত বিভিন্ন ঐষধ কোম্পানীর প্রতিনিধি বৃন্দ বিরাজমান বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। সভায় স্কয়ার ফার্মসিটিক্যালস্, রেনেটা, বেক্সিমকো, একমি, গ্লাস্কো, এসিআই, এসকেএফ, ইনসেপ্টা, জেনারেল ফার্মাসহ প্রায় ৩০টির অধিক ঔষধ কোম্পানির কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে উপস্থিত সবাই মধ্যহ্ন ভোজে যোগ দেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.