কাপ্তাই হ্রদেকে ঘিরে আরো উদ্যোগি হতে হবে

0

মো: সাইফুল উদ্দীন, রাঙামাটি::সারা দেশের বিভিন্ন জেলাগুলোর একটি নিজস্ব লোগো এবং শ্লোগান তৈরি করার কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। বেশ কয়েকটি জেলায় তৈরি করেও নিয়েছে। আমরা সে অনুসারে রাঙামাটির বিভিন্ন বিষককে কেন্দ্র করে লোগো এবং শ্লোগান জমা দেওয়ার প্রচারনাও করেছি। কিছু সংখ্যাক লোগো এবং শ্লোগান জমা পরেছে। কিন্তু তেমন একটা ভালো মনে হচ্ছে না। আমরা দেখি আরো চিন্তা করে নতুন কিছু বের করতে পারি কি না। কারণ এই লোগ এবং শ্লোগান অত্র এলাকার নাম বহন করবে। যা বারবার পরির্বতন করা যাবে না। রাঙামাটির মূল কেন্দ্রবৃন্দু হিসাব করলে দেখা যায় কাপ্তাই হ্রদকে ঘিরেই এই জেলার পরিচিতি বেশি। আমরা এই কাপ্তাই হ্রদকে আরো পরিচিত এবং উন্নত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কাজ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। কাপ্তাই হ্রদকে ঘিরে আমাদের আরো উদ্যোগি এবং চিন্তাশীল হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো: মানজ্জারুল মান্নান।

বৃহস্পতিবার বিকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা ব্র্যান্ডিং সংক্রান্ত ভিডিও কনফারেন্স সমাপনি বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর পূর্বে জেলা প্রশাসক মো: মানজারুল মান্নান ভিডিও কনফারেন্স’র মাধ্যমে বাংলাদেশ সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম’র সাথে সরাসরি কথা বলেন এবং ব্র্যান্ডিং বিষয়ক রাঙামাটির অবস্থা তুলে ধরেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আবু শাহেদ চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট মোয়াজ্জেম হোসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো: সাফিউল হোসেন সারোয়ার সহ বিভিন্ন নির্বাহী ম্যাজিস্টেট এবং সুশিল সমাজের নেতৃবৃন্দ।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আরো বলেন, কাপ্তাই হ্রদকে নিয়ে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে মন্ত্রাণালয়ে দুইটি বিষয়ে অনুমতির আবেদন করেছিলাম তা উভয়ই অনুমতি দেওয়া হয়েছে। একটি হচ্ছে কাপ্তাই হ্রদে মে মাস থেকে তিন মাস মাছ ধরা নিষেধ থাকে। সে সময়ে আমরা পোনা মাছ হ্রদে ছেড়ে থাকি কিন্তু দেখা যায় আমরা দেরি করে ছাড়ার কারণে এই মাছ গুলো ছোট অবস্থায় যথারিতি জেলেদের হাতে পরে যায়। তাই আমরা মে মাসের ১ তারিখে মাছ মারা বন্ধ হলে ১ থেকে ৭ তারিকের মধ্যে মাছ ছাড়বো। অন্যটি হচ্ছে কাপ্তাই হ্রদে বেশ কিছু ঝাক রয়েছে। যা বন্ধের জন্য ইতিমধ্যে আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। এটি বন্ধের জন্য যে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করতে মন্ত্রাণালয় থেকে নিদেশ এসেছে। তাই আমরা সাধারণ মানুষের সুবিধায় সচেতন মহলকে সাথে নিয়ে আমাদের কাজ করে যাবো বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
কনফারেন্স শেষে স্বাধীনতা দিবস উৎযাপন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রি এবং রাষ্ট্রপতির আগে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া উচিত নয় বলে মন্ত্রাণালয় থেকে জানানো হয়েছে। সে জন্য এইবার ২৬ শে মার্চ সকাল ৬টায় রাঙামাটি শহীদ মিনারে ৩১বার তপদ্ভনি এবং পুষ্প অর্পন করা হবে। তাই সকল সরকারি, বেসরকারি এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনকে বলা হয়েছে সকালে উপস্থিত থেকে পুষ্প অর্পন করার জন্য। এছাড়া ২৫ মার্চ রাষ্ট্রিয় ভাবে প্রথম গণহত্যা দিবস পালন করা হবে, সে অনুসারে রাঙামাটিতেও এই দিবস উদ্যাপন করা হবে। ঐদিন কোন সরকারি এবং বেসরকারি অফিসে আলোক-সজ্জা না করার জন্য তিনি নিদেশ প্রদান করেন।
জেলা প্রশাসকের ‘নাইট অভিযান’ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন সামাজিক ক্লাবগুলোতে রাতে মদ, জুয়াসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্যর আসর বসে। এই আসর বন্ধ করার লক্ষ্যে এবং সামাজিক সংগঠন ক্লাবের নামে এর আড়ালে বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ড রোধ করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক ‘নাইট অভিযান’ শুরু করেছে। এতে করে যুব সমাজ যেমন এই মাদক নামক সংক্রামণ থেকে রক্ষা পাবে। ঠিক তেমনি ভাবে ক্লাবের নামে অপকর্মও রোধ করা সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.