কালুরঘাটে নারী শ্রমিকদের জন্য ডরমিটরি

0

সিটিনিউজবিডি : কালুরঘাটে ১ হাজার নারী শ্রমিকের জন্য ডরমেটরি তৈরি করতে যাচ্ছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। নারী শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকায় আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণে সরকারের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে এ ডরমেটরি তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। আবাসন ব্যবস্থার পাশাপাশি নারী শ্রমিকদের চিকিৎসা সুবিধা, বিনোদন ও খেলাধুলার ব্যবস্থা থাকবে ডরমেটরিতে।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, নগরীর কালুরঘাটে শ্রমকল্যাণ কেন্দ্রে শ্রম মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব জায়গায় ডরমেটরি গড়ে তোলা হবে। গার্মেন্টস অধ্যুষিত এলাকায় নারী শ্রমিকদের আবাসন সমস্যার নিরসনে একই প্রকল্পের অধীনে নারায়ণগঞ্জে একটি ও নগরীর কালুরঘাটে একটি ডরমেটরি নির্মাণ করবে শ্রম মন্ত্রণালয়।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারি সচিব হাবিবুর রহমান জানান, ‘শ্রমিকদের কল্যাণে শ্রম মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন কাজের অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামের গার্মেন্টস শিল্প অধ্যুষিত কালুরঘাটে এক হাজার নারী শ্রমিকদের জন্য ডরমেটরি নির্মাণ করা হবে। এ জন্য শ্রম মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। গার্মেন্টেসের নারী শ্রমিকদের অগ্রাধিকার দেয়া হলেও অন্যান্য সেক্টরের নারী শ্রমিকরা এখানে থাকতে পারবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডরমেটরির নির্মাণ কাজ করার জন্য বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। শ্রম মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত শর্ত পূরণ করবে এমন প্রতিষ্ঠানকে নির্মাণ কাজ করতে দেয়া হবে। যদি কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি না হয় সেক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় ঠিকাদার নিয়োগ করবে।’
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব পরিকল্পনা বিভাগ ডরমেটরি নির্মাণের প্রাথমিক কাজ করছে। এর অংশ হিসেবে ডরমেটরির ডিজাইন, ড্রয়িং প্রণয়নের কাজ করছে তারা। ডিজাইন ও ড্রয়িংয়ের কাজ চূড়ান্ত হলে প্রকল্পের কস্টিং নির্ধারণ করা হবে। এরপর তা একনেকে অনুমোদনের জন্য তোলা হবে। প্রকল্প অনুমোদনের পর স্বল্পতম সময়ে তা বাস্তবায়নের জন্য সরকার থেকে নির্দেশনা রয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সরকারি তহবিলের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া হবে জানিয়েছে শ্রম মন্ত্রণালয়।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী প্রধান সঞ্জয় কুমার ঘোষ বলেন, ‘এটি সরকারে অগ্রাধিকার প্রকল্প। একনেকে পাস হওয়ার পর দ্রুততম সময়ে ডরমেটরি নির্মাণ করা হবে। চলতি বছরের শেষে নির্মাণ কাজ শুরু হতে পারে।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রকল্পটি কনসেপ্ট লেভেলে রয়েছে। এখন প্রজেক্টের জন্য ডকুমেন্ট তৈরি করা হচ্ছে। ডরমেটরির ডিজাইন ও ড্রয়িং নির্ধারণ করার পর কস্টিং নির্ধারণ করা হবে। প্রকল্পে আনুমানিক ব্যয় ১০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হতে পারে। তবে একনেকে পাস হওয়ার পরই তা চূড়ান্ত হবে।’
সঞ্জয় কুমার ঘোষ বলেন, ‘ডরমেটরিতে ১ হাজার নারী শ্রমিকের আবাসন হবে। নারী শ্রমিকরা নামমাত্র খরচে এখানে থাকতে পারবে। চিকিৎসা সুবিধার পাশাপাশি নারী শ্রমিকদের জন্য থাকবে রিফ্রেশমেন্ট জোন, বিনোদনের জন্য কমনরুম ও খেলাধুলার জন্য স্পোর্টস জোন।’

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.