সিটিনিউজ ডেস্ক::কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কয়েকটি কেন্দ্রে দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনার কারণে ভোটারদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। বিশেষ করে নারী ভোটারদের মধ্যে অনেকেই কেন্দ্র ছেড়ে বাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন।
অবশ্য গোটা নির্বাচনী এলাকার পরিস্থিতি সার্বিকভাবে শান্ত রয়েছে। মোট ২৭টি ওয়ার্ডের ১০৩টি কেন্দ্রের মধ্যে পাঁচটি কেন্দ্রে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একটি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করেছেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা। বাকি কেন্দ্রগুলোতেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
রাজপারা, নেওরায় ৭৪, ৭৫ কেন্দ্রে দুই পক্ষে উত্তেজনা শুরু হয় দুপুরের পর থেকে। ভল্লবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১০টি ককটেল পাওয়া গেছে। সেগুলো নিষ্ক্রিয়ের কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সুজানগরে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে মাতৃসদন হাসপাতাল কেন্দ্রেও ভোটারদেরকে উত্তেজনার ঘটনায় ছুটাছুটি করতে দেখা গেছে।
৭ নং ওয়ার্ডের ইসহাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বেলা ১২টার দিকে উত্তেজনা শুরু হয়। এসময় ভোট কেন্দ্র থেকে নারীসহ সাধারণ ভোটাররটা ভোট কেন্দ্র ছেড়ে চলে যেতে দেখা গেছে।
সুলতানা নামে এক নারী ভোটারকে বলতে শোনা গেছে, ‘আর ভোট দেমু না। হেরা গণ্ডগোল শুরু করছে।’
এর কিছুক্ষণ পরেই ভোট কেন্দ্রের বাইরে দুইপক্ষের মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটে। পড়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাক্কুর এক সমর্থককে সীমার সমর্থকরা মারধর করেছে।
কামরুন নাহার নামে এক নারী ভোটার তার এক স্বজনকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে আর বলছে, ‘এখানে গণ্ডগোল হবে। আর ভোট দিতাম না। চল যাই।’
ওই কেন্দ্রে বেলা একটার দিকে পরিদর্শন করতে আসেন বিএনপি প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু। তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘প্রার্থী (সীমা) এই কেন্দ্রে এসে আমার এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। এটা কোনো ভাবে মানা যায় না। আমি রিটার্নিং কার্যালয়ে জানিয়েছি।’
সাক্কু বলেন, ‘নয়টি ওয়ার্ডে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে ক্ষমতাসীনরা প্রভাব বিস্তার করছে। সিটি কলেজে তারা ককটেল ফাটিয়ে রক্তাক্ত করেছে। সে কেন্দ্রটি বন্ধ ঘোষণা করেছে রিটার্টিং কর্মকর্তা’।
এক প্রশ্নের জবাবে সাক্কু বলেন, ‘সকাল থেকে ভোট সুষ্ঠূ হলেও দুপুর থেকে বিভিন্ন কেন্দ্র দখল করার চেষ্টা হচ্ছে।’
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা রোকন উদ্দিন মণ্ডল ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘কিছু ঘটনা ঘটেছে। সেগুলো সমাধানের চেষ্টা চলছে।’