ক্ষতিকর ইউক্যালিপ্টাস গাছে সয়লাব বোয়ালখালী

0

বোয়ালখালী প্রতিনিধি::ইউক্যালিপ্টাস বা আকাশমণি আমাদের সবারই অতিপরিচিত বৃক্ষ। এ গাছ আমাদের জলবায়ুু, মাটি, কৃষিজমি ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। বোয়ালখালী উপজেলায়ও এ গাছ ব্যাপক হারে রয়েছে। অনেকটা না জেনেই ইউক্যালিপ্টাস গাছ, কৃষিজমির পাশে, বাড়ির আঙ্গিনায় ও রাস্তার ধারে ব্যাপকভাবে রোপণ করেছেন। মূলত দ্রুতবর্ধনশীল হওয়ায় ইউক্যালিপ্টাস গাছের প্রতি বেশি ঝুঁকছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবদুল আজিজ বলেন, ইউক্যালিপ্টাস গাছ আশপাশের প্রায় ১০ ফুট এলাকার ও ভূগর্ভের প্রায় ৫০ফুট নিচের পানি শোষণ করে আকাশে উঠিয়ে দেয়। এই গাছ রাতদিন ২৪ ঘণ্টাই পানি শোষণ করে বাতাসে ছাড়ে। এর ফলে মাটিতে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। এই গাছের কাঠের গুণাগুন তেমন ভালো নয়।

এ গাছ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। এই গাছের আশপাশে অন্য প্রজাতির গাছ জন্মাতে পারে না। এ গাছ মাটিকে শুষ্ক করে ফলে মাটির উর্বরতা কমে যায়। আর ইউক্যালিপ্টাস গাছ কেটে ফেললে মাটির উর্বরতা ফিরে আসতে দীর্ঘ সময় লাগে। ইউক্যালিপ্টাস গাছ বর্জন করা উচিত।

তিনি বলেন, আমাদের ভাবা উচিত, অধিক পরিমাণে ফলদ ও দেশীয় প্রজাতির বনজ বৃক্ষরোপণ করা যায়। বনায়নের জন্য দেশীয় ফলদ বৃক্ষ বেছে নিলে যেমন ফল পাওয়া যাবে তেমনি কাঠও পাওয়া যাবে।

বোয়ালখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবু জাফর মো. মঈনউদ্দিন বলেন, খুব সম্ববত ১৯৮৬ সালের দিকে কোন গবেষণা ছাড়াই

ইউক্যালিপ্টাস গাছ লাগানো হয়েছিল এদেশে। তবে ২০০১ সাল থেকে এ গাছের অপকারিতা সম্পর্কে জনগনকে আমরা জানাচ্ছি। গাছগুলো ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নামিয়ে দেয়, যা পানির সামান্য উৎসকেও নিঃশেষ করে দিচ্ছে। এই গাছে কোনো পাখি বাসা বানায় না। এ গাছের ফুলের রেণু নিঃশ্বাসের সাথে মানব দেহে প্রবেশ করলে শ্বাসকস্টসহ ফুসফুসে নানা ব্যাধির সৃষ্টি করে। ইউক্যালিপ্টাস গাছের পাতা মাটির জন্য ক্ষতিকর। মাটিতে পড়ার পর পাতার পচনেও অপেক্ষাকৃত বেশি সময় লাগে, যা মাটি ভেদ করে পানি ভূগর্ভে যেতে বাধার সৃষ্টি করে। ইউক্যালিপ্টাস বা আকাশমণির ইংরেজি নাম Auri, Ear leaf, Acacia ও

বৈজ্ঞানিক নাম Acacia auriculiformis এটি খুব দ্রুত বাড়ে। তবে এ গাছ পরিবেশবান্ধব নয়। তবে গাছগুলো কেটে ফেলার জন্য জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে উৎসাহিত করছি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.