যান চলাচলের অনুপযোগী মিরসরাইয়ের করেরহাট বাজার সড়ক
এম আনোয়ার হোসেন, মিরসরাই :: খানাখন্দে ভরে গেছে মিরসরাইয়ের ১ নং করেরহাট ইউনিয়নে অবস্থিত করেরহাট বাজার সড়ক।
করেরহাট-খাগড়াছড়ি এবং করেরহাট-ছাগলনাইয়া রুটের সংযোগস্থলে অবস্থিত সড়কটি একেবারেই যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।
বৃষ্টি নামলেই গর্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে।
প্রায় প্রতিদিনই যাত্রী ও মালবাহী বিভিন্ন যানবাহন এসব গর্তে আটকা পড়ে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, করেরহাট বাজারের উত্তর দক্ষিন এবং পূর্ব পার্শ্বের তিন দিকেই রাস্তায় বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।
এই বাজার দিয়ে ফেনীর ছাগলনাইয়া এবং খাগড়াছড়ি রুটে প্রতিদিন অসংখ্য ভারি যানবাহন চলাচল করে থাকে।
বিশেষ করে বালুবোঝাই ট্রাকগুলো ওই সড়কে বেশি চলাচল করে। ফলে সড়কের নাজুক অবস্থায় ট্রাকগুলো চলছে ঝুঁকি নিয়ে।
এছাড়া বারইয়ারহাট-খাগড়াছড়ি সড়কে প্রতিদিন শতশত যাত্রী চলাচল করে।
প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীরা চলাচল করলেও সড়কটি সংস্কার হচ্ছে না।
করেরহাাট বাজারের ব্যবসায়ী জাবেদ আহমেদ বলেন,
বাজারের অবস্থিত দোকানগুলো সড়কের চেয়ে উঁচু হওয়ায় সামান্য বৃষ্টি হলেও বাজার এবং সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যায়, ফলে রাস্তায় গর্তের সৃষ্টি হয়।
বুধবার (১৯ জুলাই) সকালে ফেনীর ছাগলনাইয়াগামী সার ভর্তি একটি ট্রাক গর্তে আটকে যায়।
ক্রেন না থাকায় খাগড়াছড়ি থেকে আসার পথে কয়েকটি হাতি দিয়ে আটকে পড়া ট্রাকটিকে সরানোর চেষ্টা করা হয়।
পরে নিরুপায় হয়ে সব সার নামিয়ে গর্ত থেকে ট্রাকটিকে তোলা হয়।
এভাবে প্রতিদিনই একাধিক মাল ও যাত্রীবাহী গাড়ী আটকে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে।
বারইয়ারহাট-খাগড়াছড়ি সড়কের চলাচলরত হিলবার্ড বাসের চালক রুস্তম আলী জানান, এমনিতে বারইয়ারহাট-খাগড়াছড়ি সড়ক পাহাড়ী অঞ্চলে অবস্থিত।
এমতাবস্থায় সড়কে বড় বড় গর্ত গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান তিনি।
করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন জানান, সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতায়।
তাই ইউনিয়ন পরিষদের অর্থ দিয়ে এত বড় কাজ করা সম্ভব নয়।
তবে তিনি সড়ক ও জনপথ বিভাগকে সড়কের দুই পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করে সড়কটি আরো উঁচু করে সংস্কার করার জন্য লিখিত চিঠি দিয়েছেন।