‘গণহত্যা দিবস’ পালনে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ

0

সিটিনিউজ ডেস্ক::৯ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক ‘গণহত্যা স্মরণ দিবস’ হিসেবে পালনের জন্য জাতিসংঘ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা পরিবর্তন করে ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ পালনের জন্য আন্তর্জাতিক এই সংস্থাটির কাছে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

গণহত্যার ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি এবং গণহত্যায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণের জন্য ১৯৪৮ সালের ৯ ডিসেম্বরে জাতিসংঘে গণহত্যা প্রতিরোধ ও এ সংক্রান্ত শাস্তি বিষয়ক প্রথা গৃহীত হয়। ২০১৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর দিনটিকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা স্মরণ ও প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি। বাংলাদেশসহ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ১৯৩টি দেশ এই প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে অনুমোদন করে।

মোজাম্মেল হক বলেন, ‘৯ ডিসেম্বরকে ২৫ শে মার্চে পরিবর্তন করে আনার জন্য সমস্ত যুক্তি,তথ্য-উপাত্ত দিয়ে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে ডকুমেন্ট তৈরি করেছেন। এবং বিভিন্ন দূতাবাসের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের কাছে তা পাঠাতে যাচ্ছি। সেইসাথে তাদের সাথে মতবিনিময় করার প্রক্রিয়া আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গ্রহণ করেছে। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কূটনৈতিক তৎপরতা চালাবে যে কেন ৯ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ২৫ শে মার্চ হওয়া উচিৎ।’

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু ৯ ডিসেম্বরের স্বপক্ষে কোনো ঘটনার যুক্তি নেই, তাই এটা নির্ধারণের ক্ষেত্রে কোনো ভিত্তি নেই। ২৫ মার্চ ৫০ হাজার লোক কেবল ঢাকা শহরেই হত্যা করা হয়েছে। যুদ্ধ লাগলে এক দেশের লোক আরেক দেশের লোককে হত্যা করেছে। কিন্তু ২৫ মার্চ পর্যন্ত আমরা আর পাকিস্তান একই রাষ্ট্র ছিলাম। কিন্তু এভাবে হত্যা করা কল্পনাও করা যায় না। তাই আমরা মনে করি, আমাদের এই যুক্তি বিশ্ববাসীর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।’

৯ ডিসেম্বর ‘গণহত্যা স্মরণ দিবস’ এর পরিবর্তে ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক ‘গণহত্যা দিবস’ পালনের প্রস্তাব নিয়ে চলতি মাসেই (মার্চ) জাতিসংঘকে আবেদন সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘গত সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবেদন প্রস্তুত করেছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। এবং সেটা কে নিয়ে যাবে তার নামসহ উল্লেখ করেছেন। এটা এই মাসেই পাঠানো হবে, আমাদের প্রতিনিধি জাতিসংঘে গিয়ে দিয়ে আসবে।’

আবেদনের আগে সমর্থনের বিষয়টি মাথায় রাখা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আবেদনের আগে আমরা যদি সমর্থন আদায় করতে না পারি এবং ব্যর্থ হলে এটা আবার ওঠানো কঠিন হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আবেদন করব। কিন্তু সেইসাথে এটা জাতিসংঘে ওঠানোর আগে কূটনৈতিকভাবে যেন অধিক দেশের সমর্থন আদায় করতে পারি, সে তৎপরতা চলবে।’

 

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.