গফুর হালী ছিলেন একজন ক্ষণজন্মা সুরসাধক

0

সুজিত দত্ত, পটিয়া প্রতিনিধি::পটিয়ায় গত ৬ আগষ্ট প্রত্যয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক একাডেমির উদ্যোগে সংগীতজ্ঞ আবদুল গফুর হালীর ৯০তম জন্মদিন পালন করা হয়।

একাডেমির কার্যালয়ে একাডেমির নির্বাহী পরিচালক আবদুল্লাহ ফারুক রবি সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটিয়া পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশীদ।

তিনি বলেন, গফুর হালী একজন ক্ষণজন্মা সুরসাধক। তাঁর রচিত গান মানুষের অন্তর ও আত্মার শিকড়ে প্রবেশ করেছে। চাঁটগাইয়া গানের অদ্বিতীয় সম্রাট আবদুল গফুর হালী এমনই এক ব্যক্তিত্ব যার গান ও কণ্ঠ মাটি ও মানুষের কথা বলতেন। তিনি গানের মাধ্যমে মনের ভাবাবেগ শৈল্পিক ছন্দে ফুটিয়ে তুলেছেন।

তিনি আঞ্চলিক গানের ধারাকে নতুন ও স্বতন্ত্র পর্যায়ে নিয়ে আসতে পেরেছেন। আঞ্চলিক গান ছাড়াও তাঁর মরমি গানগুলো মানুষের হৃদমাঝারে প্রবেশ করে ভাবের প্রবর্তনাকে জাগিয়ে তুলেছেন। মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নান বলেন, গফুর হালী আমার খুব কাছের মানুষ ছিলেন। তিনি সব মানুষের সাথে মিশে থাকতে পারতেন।

তিনি আঞ্চলিক, মরমি, মাইজভান্ডারী ও মোহছেন আউলিয়ার গান সহ প্রায় ২ হাজার গান সৃষ্টি করেছেন। একাডেমির নির্বাহী পরিচালক আবদুল্লাহ ফারুক রবি বলেন, আঞ্চলিক গানের মহীরুহ শিল্পী আবদুল গফুর হালী প্রচারবিমুখ ও অসাধারণ প্রতিভার একজন সুরস্রষ্টা। তাঁর সৃষ্টিকর্ম এখন বৈশ্বিক গবেষণার বিষয়। কিন্তু তাঁর মত গুণীশিল্পীর কদর আমরা এখনো করতে পারিনি। তাঁকে আমরা এখনো উপযুক্ত মর্যাদার আসনে বসাতে পারিনি। তাঁর জীবন ও র্কীর্তিগাঁথা প্রত্যয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক একাডেমির মাধ্যমে সবার মাঝে তুলে ধরা হবে।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন,একাডেমির নির্বাহী সদস্য বিশ্বজিৎ দাশ, সংগীত শিক্ষক বিশ্বজিৎ সিংহ, আবৃত্তিশিল্পী গৌতম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের সভাপতি শিশু সংগঠক আলমগীর আলম, এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, একাডেমির সদস্য এমরান হোসেন রাসেল, অভিজিৎ কুমার শুভ, বাবু রহমান, বাবলু চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম, সুকান্ত দাশ প্রমুখ।

পটিয়াই হযরত আবুল খায়ের সুলতানপুরী (রাঃ) এসোসিয়েশন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির দ্বী-বার্ষিক সম্মেলন সম্পন্ন।

 

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.