চট্টগ্রামে দেওয়াল ও পাহাড় ধ্বসে প্রানহানি

0

সিটিনিউজবিডি: চট্টগ্রামে পাহাড় ও দেয়াল ধ্বসের পৃথক ঘটনায় মোট ছয়জন নিহত হয়েছে। এরমধ্যে নগরীর লালখান বাজর পোড়া কলোনীতে দেওয়াল ধ্বসে তিনজন এবং আমিন বাজার এলাকায় একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রামের উপ পরিচালক মোহাম্মদ ইয়াহিয়া জানান, দুই ঘটনায় নিহত ও আহতদেও উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিেিকল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, রাত একটার কিছু পরে পোড়া কলোনীতে একটি স্থাপনার সীমানা দেওয়াল পাশ্ববর্তী একটি বসত ঘরের ধ্বসে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ গিয়ে এলাকাবাসীর সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে মা মরিয়ম বেগম(৩০), তার কন্যা সুরাইয়া বেগম(২) এবং তার প্রতিবেশির শিশু কন্যা আখি নুরের(৫) মৃত দেহ উদ্ধার করে।

অপর দিকে রাত প্রায় দুইটার সময় বায়েজীদ থানাধীন আমিন কলোনীতে পাহাড় ধ্বসে দুটি বসত ঘরের উপর পড়ে। এখান থেকে শাহজাহান মিস্ত্রীর তিন সন্তান আরাফাত(১২), উম্মে সালমা(৫) এবং মরিয়মের(২) মৃতদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস ও এলাবকাবাসী।
দুই ঘটনায় উদ্ধার হওয়া মৃতদেহগুলো চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা খবর পেয়ে রাতেই লালখান বাজার পোড়া কলোনীর দেওয়ার ধ্বসের ঘটনাস্থল এবং সকালে আমিন কলোনীর পাহাড় ধ্বসের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ।

জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন সিটিজি নিউজকে জানান, বৃষ্টিতে পাহাড়ের উপর থেকে নেমে আসা পানির স্রোতের কারনে দেওয়াল ও পাহাড় ধ্বসের ঘটনা ঘটেছে।

দেওয়াল ও পাহাড় ধ্বসে নিহতের পরিবারকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষনিকভাবে ৪০হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে, জানান তিনি।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আবদুল জলিল মন্ডল রবিবার সকালে দূর্ঘাটনাস্থ পরিদর্শন করেছেন।

এদিকে, অতি বৃষ্টির কারনে চট্টগ্রামে পাহাড়ের পাদদেশে ঝূকিপুর্ণ বসবাসকারী পরিবারগুলোকে সরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে প্রশাসন।

রবিবার সকাল নয়টা পর্যন্ত গত ২৪ঘন্টায় চট্টগ্রামের আমবাগান আবহাওয়া অফিস ২২৯দশমিক ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।

জেলা প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী চট্টগ্রামের ১২টি পাহাড়ের পাদদেশে কমপক্ষে সাড়ে ছয়শ পরিবার ঝুকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.