চট্টগ্রামে সম্ভাব্য এমপি প্রার্থীরা টেনশনে !

0

জুবায়ের সিদ্দিকী,সিটিনিউজ – 

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের সব নির্বাচনি এলাকায় বর্তমান সংসদ সদস্য ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। সচেতন ভোটার ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকবর্গ প্রতিটি আসনে উন্নয়ন কর্মকান্ড ও সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে করছেন চুলছেড়া বিশ্লেষন। চট্টগ্রামের প্রায় সব নির্বাচনী এলাকায় বর্তমান সংসদ সদস্যের সঙ্গে দলের ত্যাগী-পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের সৃষ্টি হয়েছে দুরত্ব। মাঝখানে জায়গা দখল করেছে সুযোগসন্ধানী মহল।

এসব এলাকার সংসদ সদস্যের চারপাশে ঘিরে থাকা মৌসুমী নেতাকর্মীরা লুটেপুটে খাচ্ছে। যাদের রাজনীতিতে হাইব্রীড় উপাদী দিয়েছে নেতাকর্মীরা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতিটি সংসদীয় এলাকার বড় সমস্যা হচ্ছে অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্ব গ্রুপিং। মুল দল, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠন সর্বত্র একই অবস্থা। নির্বাচনের সম্ভাব্য ডেটলাইন যত এগিয়ে আসছে উৎসাহ-উদ্দীপনা যেন উত্তাপ ছড়াচ্ছে। আওয়ামী লীগের দলীয় ফোরামে একাধিকবার তাগিদ দেওয়ার প্রেক্ষিতে স্থানীয় সংসদ সদস্যরা নানা কর্মসুচীতে এলাকায় যোগাযোগ বাড়িয়ে দিয়েছেন। একই সাথে বিভিন্ন সামাজিক কর্মসুচীতে নেমে পড়েছে সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তারা নিয়মিত যোগ দিচ্ছেন সামাজিক অনুষ্টানাদিতে।

জনসম্পৃক্ততা বাড়িয়ে দিয়েছেন সবাই। ভোটারদের নিজের দিকে টানতে নিচ্ছেন কৌশল। ধর্নাট্যদের অনেকে ইতিমধ্যে দিচ্ছেন উপহার সামগ্রী, কাপড় চোপড় ও আর্থিক সহযোগীতা। সম্ভাব্য নতুন প্রার্থীরা বেশ ভাল অবস্থানে থাকলেও শান্তিতে নেই সংসদ সদস্যরা। তাদের বিরুদ্ধে মানুষের অভিযোগের পাহাড়। প্রত্যাশিত উন্নয়ন কর্মকান্ডে ব্যর্থতা, দলে গ্রুপিং-দ্বন্দ্ব মিটাতে না পারা, সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজ, ভুমিদস্যু, হাইব্রীড় নেতাকর্মীদের চক্রজালে আবদ্ধ হওয়া, ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে দুরত্ব, সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের অর্থ লোপাড় সহ বিভিন্নভাবে সমালোচিত এসব সংসদ সদস্য এখন হাই টেনশনে। অস্বস্তি কাজ করছে শরিকদলের সংসদ সদস্যদের।

অপরদিকে এমপি হওয়ার খোয়াব দেখছেন নাম সর্বস্ব, অস্থীত্বহীন দলের অনেক নেতাও। মহাজোটকে সমর্থন দিয়ে কোন আসন ভাগিয়ে নেওয়া যায় সে চিন্তায় কষছে নানা অংক। বিভিন্ন নির্বাচনি এলাকায় সচেতন ভোটার, রাজনৈতিক কর্মী, কৃষক-শ্রমিক ও পেশাজীবি শ্রেনীর লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এসব তথ্য। আসনওয়ারী উঠে এসেছে সাফল্য-ব্যর্থতার সাতকাহন।

চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) : বর্তমান এমপি ও সরকারের গনপুর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন অভাবনীয় উন্নয়ন কর্মকান্ড করেছেন তিনি। অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা ও মিরশ্বরাই উপকুলীয় এলাকায় গড়ে উঠেছে পর্যটন স্পট। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন সহ একটি গ্রুপ বরাবরই তার প্রতিপক্ষ থাকলেও এলাকায় তাঁর অবস্থান ভাল। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য শিল্পপতি এমডি এম কামাল উদ্দিন, সাবেক এমপি এম.এ জিন্নাহ অথবা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।

চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) : বর্তমান এমপি ত্বরিকত ফেড়ারেশনের নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী তেমন কোন উন্নয়ন কর্মকান্ড করতে না পারায় ক্ষোভ রয়েছে সর্বস্থরের মানুষের মাঝে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হয়রানীর অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এখানে এমপি রফিকুল আনোয়ারের মেয়ে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা খাদিজাতুল আনোয়ার সনি, ফখরুল আনোয়ার ও এটিএম পেয়ারুল ইসলাম আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী। তবে ত্বরিকত ফেড়ারেশন মহাজোটে থাকলে আসনটি ফের তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। এ আসনে বিএনপি থেকে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।

চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) : দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপের অবকাঠামোগত উন্নয়নে অবদান সচেষ্ট ছিলেন বর্তমান এমপি মাহফুজুর রহমান মিতা। তবে দলের অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্ব ও গ্রুপিং রয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান মাষ্টার শাহজাহান ও পৌর মেয়র জাফর উল্লাহ টিটু আগামী নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী। শেষ পর্যন্ত মাহফুজুর রহমান মিতা মনোনয়ন পেতে পারেন। এখানে বিএনপি থেকে সাবেক এমপি মোস্তফা কামাল পাশা বা যুবদল নেতা সাখাওয়াত হোসেন শওকত প্রার্থী হতে পারেন।

চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুন্ড) : বর্তমান এমপি দিদারুল আলম সীতাকুন্ডের উন্নয়নে তেমন উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রাখতে পারেননি। শহরের কাট্টলী থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসা সংসদ সদস্যকে প্রতিটি কার্যক্রমে হোঁচড় খেতে হয়েছে। আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাকর্মী উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে। দ্জুনই একে অপরের প্রতিপক্ষ। সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কাশেম মাস্টারের পুত্র মামুন আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী। এখানে বিএনপি থেকে কেন্দ্রীয় যুগ্ন মহাসচিব আসলাম চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এটি অনেকটা নিশ্চিত।

চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) : বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টির ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ সরকারের পানি সম্পদ মন্ত্রী হিসেবে হালদার ভাঙ্গন প্রতিরোধ সহ অভ্যন্তরীন সড়ক সংস্কারে বিভিন্ন কাজ করেছেন। এখানে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম.এ সালাম ও ইউনুচ গনি চৌধুরী সম্ভাব্য প্রার্থী। তবে জাতীয় পার্টি মহাজোটে থাকলে এ আসনটি ফের ব্যারিষ্টার আনিসকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। দলের ভাইস চেয়ারম্যান মীর মো: নাছির উদ্দিন, সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম অথবা ব্যারিষ্টার শাকিলা ফারজানা যে কোন একজন প্রার্থী হতে পারেন।

চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) : বর্তমান এমপি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বেশ উন্নয়ন কর্মকান্ড করেছেন এলাকায়। তিনি নিয়মিত সময় দেন নেতাকর্মীদের সঙ্গে। রাউজানে সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন সম্ভাব্য প্রার্থী হতে পারেন। জাতীয় পার্টি মহাজোটে থাকলে জাপা নেতা জিয়াউদ্দিন বাবলুকেও ছেড়ে দিতে পারে আসনটি। এখানে বিএনপি গিয়াস কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খন্দকার।

চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) : ড. হাসান মাহমদ মন্ত্রী থাকাকালীন যথেষ্ট উন্নয়ন কর্মকান্ড করেছেন। তবে আগামী নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান আলী শাহ সম্ভাব্য প্রার্থী বলে আজকের সুর্যোদয়কে জানিয়েছেন। এখানে বিএনপি থেকে সালাউদ্দিন কাদেরের পুত্র হুম্মাম কাদের চৌধুরী প্রার্থী হতে পারেন।

চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী) : বর্তমান সংসদ সদস্য জাসদ নেতা মইন উদ্দিন খান বাদল বেশ উন্নয়ন কর্মকান্ড করলেও জাসদের নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিরোধের মুখে এবার প্রার্থী পরিবর্তন হতে পারে। এখানে দক্ষিন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমদ ও রাষ্ট্রদুত আবুল কালাম আগামী নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী। বিএনপি থেকে দলের ভাইস চেয়ারম্যান মোরশেদ খান, এরশাদ উল্লাহ, অথবা নগর বিএনপির সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান প্রার্থী হতে পারেন।

চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী) : বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির জিয়াউদ্দিন বাবলু। তিনি কোতোয়ালী আসনের উন্নয়নে তেমন কোন ভুমিকা রাখতে পারেন নি। সময় দেন না এলাকায়। ব্যস্ত থাকেন ঢাকায়। এদিকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বা সাংবাদিক ও পেশাজীবী নেতা রিয়াজ হায়দার চৌধুরী আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী হতে পারেন। এখানে বিএনপির নির্বাহী সদস্য শামসুল আলম অথবা নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন প্রার্থী হতে পারেন।

চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং) : বর্তমান এমপি ডা. আফসারুল আমীন এলাকার পুঞ্জিভুত সমস্যা জলাবদ্ধতা, মাদকের ভয়াবহ আগ্রাসন ও অভ্যন্তরীন সড়ক সংস্কারে কোন ভুমিকা রাখতে পারেন নি। এখানে সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার ও ফরিদ মাহমুদ সম্ভাব্য প্রার্থী হতে পারেন। এ আসনে বিএনপি ে থকে দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান প্রার্থী হবেন এটা অনেকটা নিশ্চিত।

চট্টগ্রাম-১১ (পতেঙ্গা-হালিশহর) : বর্তমান এমপি এম.এ লতিফ। এলাকার সবচেয়ে বড় সমস্যা জলাবদ্ধতা দুর করতে ব্যর্থতা, অভ্যন্তরীন সড়ক সংস্কারে ব্যর্থতা, দলের মুল স্রোত থেকে দুরে থাকা, দ্বন্দ্ব ও গ্রুপিং সৃষ্টি, জাতীর জনকের ছবি বিকৃতির দায় সহ বিভিন্ন কারনে তিনি সমালোচিত হয়েছেন। নগরীর রাজনীতিতে তিনি অনেকটা কোনঠাসা। এখানে নগর আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদ আলম সুজন সম্ভাব্য প্রার্থী। অপরদিকে মহাজোট নেতা জাসদ (ইনু) জসিম উদ্দিন বাবুলও প্রার্থী হতে পারেন। এ আসনে বিএনপি থেকে স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রার্থী হতে পারেন। এ আসনে নতুন মুখ হিসেবে আলোচনায় আছেন আমিনুল হক বাবু।

চট্টগ্রাম-১২(পটিয়া) :  বর্তমান এমপি সামশুল হক চৌধুরী বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড যেমন-যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা ও আত্বসামাজিক উন্নয়ন করেছেন। চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে তিনি সমালোচিতও হয়েছেন। দলের অভ্যন্তরীন কোন্দল-গ্রুপিং বেড়েছে বহুগুন। কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা বদিউল আলম ও আওয়ামী লীগ নেতা মোতাহেরুল ইসলাম সম্ভাব্য প্রার্থী। এখানে বিএনপি থেকে সাবেক এমপি গাজী শাহজাহান জুয়েল অথবা দক্ষিন জেলার সহ-সভাপতি এনামুল হক এনাম প্রার্থী হতে পারেন।

চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা) : বর্তমান এমপি সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ সরকারের ভুমি প্রতিমন্ত্রী। দক্ষিন চট্টগ্রামের সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে আনোয়ারায়। কোরিয়ার ইপিজেড এখানে। নতুন করে চিনা ইকোনোমিক জোন গড়ে উঠছে। ইয়াবা ও মাদকের ট্রানজিট হিসেবে সমালোচিত হয়েছে এলাকা। এখানে আতাউর রহমান খান কায়সারের কন্যা বর্তমান সংরক্ষিত মহিলা এমপি ওয়াশিকা আয়েশা খান সম্ভাব্য প্রার্থী হতে পারেন। বিএনপি থেকে সাবেক এমপি সরোয়ার জামাল নিজাম অথবা এডভোকেট কবির চৌধুরী প্রার্থী হতে পারেন। নিহত বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিনের পুত্র চৌধুরী ফরমান রেজা লিটনও প্রার্থী হতে পারেন বলে জানা যায়।

চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) : বর্তমান এমপি নজরুল ইসলাম চৌধুরী এলাকার উন্নয়নে সচেষ্ট ছিলেন। অভ্যন্তরীন সড়ক উন্নয়নে কাজ করেছেন। দলের অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্ব অনেকটা প্রকাশ্যে। এখানে ইঞ্জিনিয়ার আফসার উদ্দিন চৌধুরী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মফিজুর রহমান সম্ভাব্য প্রার্থী। ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিত্ব সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমানকে প্রার্থী করতে চান অনেকেই। এখানে বিএনপি থেকে ডা. মহসীন জিল্লুর রহমান প্রার্থী হতে পারেন। তবে আসনটি বিএনপি সরিকদল এলডিপি নেতা কর্নেল অব: অলি আহমদকে ছেড়ে দিতে পারেন।

চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া) : বর্তমান এমপি আবু রেজা মো: নদভী উন্নয়ন কর্মকান্ডে সচেষ্ট ছিলেন। তবে ত্যাগী নেতাকর্মীদের সঙ্গে রয়েছে তার দুরত্ব। তার বিরুদ্ধে জামায়াতের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। আওয়ামী লীগের মুলধারা নিয়ন্ত্রক কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুর ইসলাম আমিন সম্ভাব্য প্রার্থী। চমক হিসেবে বিএনপি এ আসনে সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরীকে প্রার্থী দিতে পারেন বলে জানা গেছে।

চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) :  বর্তমান এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বাঁশখালীতে অভাবনীয় উন্নয়ন করেছেন। উপকুলীয় বেড়িবাধ, হাসপাতালের উন্নয়ন, নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করেছেন তিনি। দলের অভ্যন্তরে রয়েছে দ্বন্দ্ব ও গ্রুপিং। এখানে জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলম, অর্থ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, আখতারুজ্জামান বাবুর ভাগিনা আব্দুল্লাহ কবির লিটন ও সাবেক এমপি সোলতানুল কবির চৌধুরীর পুত্র চৌধুরী মো: গালিব সম্ভাব্য প্রার্থী। বিএনপি থেকে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী প্রার্থী হবেন অনেকটা নিশ্চিত।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকবর্গের মতে, জোট-মহাজোটের দর কষাকষিতে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অনেক সিনিয়র নেতাই মনোনয়ন বঞ্চিত হতে পারেন। জাতীয় পার্টি চট্টগ্রামে হাটহাজারীতে ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, রাউজানে জিয়াউদ্দিন বাবলু, ডবলমুরিং’এ মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহীম ও বাঁশখালীতে মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রার্থী করতে পারে।

অপরদিকে জাসদ (ইনু) বন্দর আসনে জসিম উদ্দিন বাবুল, জাসদ (বাদল-আম্বিয়া) বোয়ালখালীতে মঈন উদ্দিন খান বাদল ও ইসলামী ঐক্যজোট বাঁশখালীতে মুফতি ইজাহারুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রার্থী করতে পারে। সরিকদলের চাহিদা পুরন করতে হলে, হাটহাজারীতে ইউনুস গনী চৌধুরী, রাউজানে এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, ডবলমুরিং এ ডা. আফসারুল আমীন, বাঁশখালীতে মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, বন্দর-পতেঙ্গা আসনে এম.এ লতিফ ও বোয়ালখালীতে মোসলেম উদ্দিন আহমদ দলের মনোনয়ন বঞ্চিত হতে পারেন।

অপরদিকে জামায়াত বিএনপির কাছে বাঁশখালী ও সাতকানিয়া আসন চাইতে পারেন। এ ক্ষেত্রে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী মনোনয়ন বঞ্চিত হতে পারেন। এ আসনে জামায়াত থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করতে পারেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.