চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ: আহত ১৩

0

সিটিনিউজ ডেস্ক:: চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে বহিরাগাত প্রবেশকে কেন্দ্র করে আবারও ছাত্রলীগের দু’গ্রপের সংঘর্ষ হয়েছে।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা টিনুর অনুসারীদের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশের লাঠি চার্জে ৫ জনসহ ১৩ ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছে।

আহতদের কয়েকজন হলেন, আনোয়ার হোসেন, নিশান, সুমন ও আরিফ। বাকিদের নাম পাওয়া যায়নি।

প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানান, গতকাল রবিবার সংঘর্ষের পর আজ ফের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ। দুপুরে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে বহিরাগাত প্রবেশকে কেন্দ্র করে আবারও ছাত্রলীগের দু’গ্রপের সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগের কর্মী আহত হয়। এসময় পুলিশ ছাত্রলীগ কর্মীদের ধাওয়া দিলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোঁড়ে বিবদমান ছাত্রলীগ।

চকবাজার থানার ওসি মীর নুরুল হুদা জানান, কলেজে বহিরাগত প্রবেশ করে কেন্দ্র দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ তাদের ধাওয়া দিলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল মারতে থাকে তারা। পরবর্তীতে পুলিশ তাদের লাঠিচার্জ করেন। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও জানান তিনি।

চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুল করিম জানান, ক্যাম্পাসে গতকালও বহিরাগতরা প্রবেশ করে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালায়। তখন সাধারণ ছাত্ররা তাদের বিতাড়িত করে। আজও তারা কলেজে প্রবেশে চেষ্টা চালায়।

এর আগে রবিবার অনার্স প্রথম বর্ষের ওরিয়েন্টেশন ক্লাসকে কেন্দ্র করে স্থানীয় যুবলীগ নেতা নুর মোস্তফা টিনুর অনুসারীরা কলেজ গেইটে শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে ব্যানার লাগায়। পরে নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনির আনুসারী ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের ব্যানার নামিয়ে ফেললে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

এদিকে আহত হওয়া ছাত্রলীগ কর্মীদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল এবং বেসরকারি হাসপাতাল মাক্স হসপিটালে চিকিৎসা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা হারুনুর রশিদ হৃদয়।

প্রত্যক্ষদর্শী এক সংবাদকর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বরং শিবিরের সময় চট্টগ্রাম কলেজ মহসিন কলেজের পরিবেশ শান্ত ছিল। সাধারণ শিক্ষার্থীরা নির্ভয়ে কলেজে যেতে পারতো। শিক্ষার পরিবেশ ছিল। এখনতো প্রতিদিন যুদ্ধ হচ্ছে। ছাত্রলীগের কারণে দুটি কলেজের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। গত দুবছর ধরে ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর এখন মারামারি ও সন্ত্রাসের শিরোনাম হয়ে উঠেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা এখন কলেজে যেতে ভয় পায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

 

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.