চট্টগ্রাম-১০ আসনে নির্বাচন করতে প্রস্তুত : সৈয়দ মাহমুদুল হক

0

দিলীপ তালুকদার,সিটিনিউজ :: চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের রাজনীতির মানচিত্রে রাজপথে বঙ্গবন্ধুর এক আদর্শের সৈনিক সৈয়দ মাহমুদুল হক। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মাহমুদুল হক বাংলাদেশ খাদ্য পরিবহন ঠিকাদার সমিতির সভাপতি।

আঞ্জুমানে মোত্তাবেয়ীনে গাউছে মাইজভান্ডারীর মহাসচিবের দায়িত্ব পালন সহ চট্টগ্রাম মহানগরীতে অনেক সাংস্কৃতিক, সামাজিক, ধর্মীয় ও ক্রীড়া সংগঠনের সাথে তিনি জড়িত।

গত সপ্তাহে আজকের সুর্যোদয়ের সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে সৈয়দ মাহমুদুল হক বলেন,’ রোহিঙ্গাদের পরিকল্পিতভাবে নিধন করা হচ্ছে। মিয়ানমার চাইছে রোহিঙ্গারা দেশত্যাগ করে যাক।

রোহিঙ্গারা সংঘটিত নয়, এরপরও এদের কিছু বিদ্রোহী সেনাছাউনিতে হামলা করে। যার প্রেক্ষিতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী গনহারে সেখানে হত্যাযজ্ঞ ও লুন্ঠন চালাচ্ছে। এ এক ট্রাজেডি। যেখানে আজ মানবতা বিপন্ন।

জীবন্ত মানুষকে সেখানে আগুনে পুড়ে ও তলোয়ার দিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। শিশু ও নারীরাও বাদ যাচ্ছে না। গনহারে ধর্ষন করা হচ্ছে যুবতী থেকে বৃদ্ধাকে। সেখানকার উগ্রপন্থী বৌদ্ধরা মানুষ হত্যার উৎসব চালাচ্ছে।

সৈয়দ মাহমুদুল হক বলেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যেদিন উখিয়াতে গিয়েছিলেন। আমি আগেরদিন অগ্রবর্তী টিমের সদস্য হিসেবে উখিয়া-টেকনাফ ছিলাম। সে এক করুন দৃশ্য যা চোখে না দেখলে অনুধাবন করা সম্ভব নয়।

বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা শরনার্থীদের আশ্রয় ও নিরাপত্তার পাশাপাশি সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করছেন। ওপারে সহিংসতা থাকলেও এপারে মানবতা আজ বিশ্ববাসীকে বাংলাদেশ জানান দিয়েছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, খাবার দরকার হলে ভাগাভাগি করে খাব। আমরা যুদ্ধ কামনা করি না। আমরা চাই রোহিঙ্গারা নিরাপদে দেশে ফিরে যাক। মিয়ানমার বহুলাংশে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রনে। বাংলাদেশ অসহায় রোহিঙ্গাদের পাশে আছে।

উগ্র বৌদ্ধ, সেনাবাহিনী ও মগদের নিধন প্রক্রিয়া অত্যন্ত অমানবিক, যা কোন সুস্থ মানুষ কল্পনাও করতে পারে না। বিশ্ববাসী এই অমানবিক হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। আমাদের সরকার চায় রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হোক। তারা নিজ দেশে ফিরে যাক।

বিশিষ্ট সংগঠক ও রাজনীতিবিদ সৈয়দ মাহমুদুল হক বলেন, জনগন চাইলে আমি অবশ্যই সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হব। তৃনমুল পর্যায় থেকে অর্থাৎ ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি করে আসছি। স্কুল ও ওয়ার্ড ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে উঠে এসে আজ যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হয়েছি।

মনোনয়ন যে কেউ চাইতে পারেন। মনোনয়ন দেবেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা। মহানগর যুবলীগের ব্যানারে আমার যথেষ্ট কর্মী বাহিনী ও সমর্থক রয়েছে। যুবলীগকে নগরীতে সংঘটিত ও সাংগঠনিক ভিত্ত্বি শক্তিশালী করতে কাজ করেছি।

দল যদি আমাকে মনোনিত করে চট্টগ্রাম-১০ আসন থেকে নির্বাচন করতে আমি মানসিকভাবে প্রস্তুত রয়েছি। তৃনমুলের নেতাকর্মীদের সাথে রাজনীতি করে আসছি। বর্তমানে যুবলীগ চট্টগ্রামে অত্যন্ত শক্তিশালী ও সুশৃঙ্খল। যুবলীগ জাতির দুর্দিনে ও সংকটময় সময় জনগনের পাশে ছিল ও এখনও আছে। চট্টগ্রামে আলহাজ্ব মহিউদ্দিন চৌধুরী ও আ.জ.ম নাছির উদ্দিনের যোগ্য নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ ঐক্যবদ্ধ আছে। যুবলীগের বর্তমান অগ্রগতির নেপথ্যে আমার শ্রম, ও মেধা ছিল এবং আছে। সফলও হয়েছি।

সৈয়দ মাহমুদুল হক বলেন, দেশে চাল সংকট সৃষ্টি করেছে সিন্ডিকেট। আপনি জানেন, আমি খাদ্য পরিবহন ঠিকাদার সমিতির সভাপতি। চালের জাহাজের বস্তা আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকারী গুদামে পৌছে দিচ্ছি। সরকার যখন প্রয়োজন তখন চাল আমদানীর ব্যাপারে সতর্ক ছিল। বাংলাদেশ চাল রপ্তানী করেছে। শ্রীলংকায় যে চাল রপ্তানী হয়েছিল তা আমরাই পরিবহন করে জাহাজে দিয়েছি। শিপমেন্ট সফল হওয়াতে খাদ্য অধিদপ্তর আমাদের প্রশংসাপত্র প্রদান করেছে।সরকার চাল আমদানী করেছে। চালের জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে আসছে ও খালাস হচ্ছে চাল। দেশে চালের কোন সংকট নেই। এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছে। সরকার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করলে চালের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার ভেতরে আসবে নি:সন্দেহে। দেশকে অস্থির করতে ও সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে একটি মহল এইভাবে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে চাল নিয়ে চালবাজি চালাচ্ছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.