চন্দনাইশে তৈরি হচ্ছে আমলনামা : জাতীয় সংসদ নির্বাচন

0

মো. দেলোয়ার হোসেন,চন্দনাইশ :: বাংলাদেশ সংবিধানের বিধান মতে ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারির পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে একাদশ সংসদের জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সে লক্ষ্যে চন্দনাইশে প্রার্থী যাচাইয়ে তৈরি হচ্ছে নেতাদের আমলনামা। মাঠে তথ্য সংগ্রহে একাধিক সংস্থা ও দলের সাংগঠনিক টিম।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেড় বছর সময় বাকী রয়েছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ আ’লীগের প্রার্থী নিশ্চিত করতে মাঠে রয়েছে দলের সাংগঠনিক টিমসহ একাধিক সংস্থা। বাকী সময় কাজে লাগাতে অনেকটা আগে ভাগেই নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ক্ষমতাসীন দল আ’লীগ। বসে নেই বিএনপিও। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আ’লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচন কেন্দ্রিক বক্তব্য দেয়ায় তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত নির্বাচনী হাওয়া শুরু হয়েছে। আ’লীগের বিভিন্ন সভা-সমাবেশে ভোটকেন্দ্রিক আলোচনা নেতাদের কাছে মূখ্য হয়ে উঠেছে।

জাতীয় নির্বাচনকে এগিয়ে আনতে আগ্রহী আ’লীগ, প্রস্তুত আছে বিএনপিও। এ বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মাঝে আগে ভাগে নির্বাচনী দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। তারা দলীয় কর্মসূচির পাশাপাশি সামাজিক, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জানান দিচ্ছে নিজেদের অবস্থান। বড় দুই দলের সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে নির্বাচনী বক্তব্য উঠে আসছে। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী ও আ’লীগের সভানেত্রী বিভিন্ন সভা-সমাবেশে নৌকা প্রতীকের জন্য ভোটও চেয়ে যাচ্ছেন। এটা নির্বাচনী প্রস্তুতির অংশ বলে মনে করছেন বিজ্ঞ রাজনৈতিক মহল।

দায়িত্বশীল নেতাদের মতে বিতর্কিত নয় এমন প্রার্থীদের যাচাই বাছাইয়ের কাজ চলছে। তাছাড়া প্রত্যেক মনোনয়ন প্রত্যার্শীদের আমলনামা সংগ্রহের কাজ করছে সরকারি ও দলীয় হাই কমান্ডের একাধিক টিম। এরা আসনভিত্তিক সম্ভাব্য প্রার্থীদের ইতিবাচক ও নীতিবাচক তথ্য সংগ্রহ করে দলের নির্বাচন পরিচালনায় নিয়োজিত দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের কাছে প্রেরণ করছেন। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সংসদীয় দলের সভায় প্রধানমন্ত্রী এমপিদের আগামী নির্বাচনের জন্য ভোটারের দ্বারে দ্বারে যাওয়ার নির্দেশ ও বিতর্কিতদের মনোনয়ন না দেয়ার ঘোষণা দেন। সর্বশেষ দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় নেতাদের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেন তিনি।

দলীয় সূত্রে, প্রধানমন্ত্রী ও আ’লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ পেয়ে নির্বাচনের আগে দলের তৃণমূলে ঐক্য ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে আ’লীগ। দলকে চাঙ্গা করার অংশ হিসেবে সম্প্রতি তৃণমূলে চিঠি দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। চিঠিতে দলীয় কোন্দল নিরসন, একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে কমিটি বিলুপ্ত কিংবা কাউকে বহিস্কার করা যাবে না বলে জানানো হয়েছে।

একই সঙ্গে দল থেকে বহিস্কৃত নেতাদের দলে ফিরিয়ে আনার নির্দেশনাও উল্লেখ করা হয়েছে। নির্দেশনা পাওয়ার পর থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীরা এলাকায় যোগাযোগ বাড়িয়ে দিয়েছেন, দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন, সভা-সমাবেশগুলোতে নৌকার পক্ষে জনমত গঠনের লক্ষ্যে বক্তব্য রাখছেন। সে সাথে সরকারের উন্নয়ন বার্তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌছানোর চেষ্টা করছেন। সামাজিক, ধর্মীয়, ক্রীড়ামূলক অনুষ্ঠান ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে সরাসরি উপস্থিতি বেড়েছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের। দলের আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন বিজ্ঞ রাজনৈতিক মহল।

চট্টগ্রাম-১৪ তথা চন্দনাইশ-সাতকানিয়া (আংশিক) এলাকায় আ’লীগের ব্যানারে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্য, দক্ষিণ জেলা আ’লীগের দুই নেতা, উপজেলা আ’লীগের এক নেতা ও এক ডেভেলপার ব্যবসায়ীর নাম সম্ভাব্য তালিকায় রয়েছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। সে সাথে এলডিপি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বিএনপিতে দক্ষিণ জেলার দুই নেতার নাম সম্ভাব্য তালিকায় রয়েছে বলে জানা যায়। এ সকল সম্ভাব্য প্রার্থীরা বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমসহ সামাজিক, পারিবারিক, ক্রীড়া, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন কৌশলে অংশগ্রহণ করে অনুদান দিয়ে যাচ্ছেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.