চন্দনাইশে ব্রীজ নির্মাণে সরকারের ৫৬ লক্ষ টাকা ভেস্তে : ১ প্রকৌশলী বদলী

0

নিজস্ব প্রতিনিধি,সিটিনিউজ :  চন্দনাইশ উপজেলার ধোপাছড়ি চামাছড়ি খালের উপর ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া একটি ব্রীজ নির্মাণ পরবর্তী ধ্বসে যাওয়ার ঘটনায় সত্য বক্তব্য দিয়ে বদলী হলেন চন্দনাইশ উপজেলা প্রকৌশলী।

উপজেলার ধোপাছড়ি চামাছড়ি ২শ ফুট খালের উপর মাত্র ৬০ ফুট ব্রীজ নির্মাণ করেছিল ত্রাণ বিভাগ। পরবর্তী গত ১৩ জুন পাহাড়ি ঢলে ব্রীজটি উদ্বোধনের আগে ধ্বসে যাওয়ার সংবাদটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। সংবাদে তৎকালীন চন্দনাইশ উপজেলা প্রকৌশলী দিদারুল ইসলাম ব্রীজ নির্মাণের তথ্য উপাত্ত এবং এলজিইডি’র সড়কে ব্রীজ নির্মাণের জন্য সয়েল টেস্ট ও যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করেন।

বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন থাকা অবস্থায় উপজেলা ত্রাণ বিভাগ ২শ ফুট খালের উপর মাত্র ৬০ ফুট ব্রীজ নির্মাণ করার বিষয়ে উপজেলা দপ্তর থেকে ব্রীজের ফিজিবিলিটি স্টাডিসহ বিভিন্ন বিষয়ে সত্য বক্তব্য উপস্থাপন করায় এক মাসের মাথায় বদলী হয়ে যায় উপজেলা প্রকৌশলী। অথচ ত্রুটিপূর্ণ ব্রীজ নির্মাণের সংবাদ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ২ জন অতিরিক্ত সচিব, নির্বাহী প্রকৌশলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা)সহ ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি সরজমিন পরিদর্শন করেন।

তদন্ত কমিটি এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার কথাও ছিল। এতকিছু হওয়ার পরও যারা যথাযথ স্থানে পরিকল্পনা ও ফিজিবিলিটি স্টাডি ব্যতিরেকে ব্রীজ নির্মাণ করায় সরকারের ৫৬ লক্ষ টাকা ভেস্তে যেতে বসেছে। অথচ সে দপ্তরের কর্মকর্তা বা সে ব্রীজের সাথে সংশ্লিষ্টদের কারো বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নি।

মাঝপথে টেকনিক্যাল বক্তব্য দেয়ায় বদলী হয়ে গেলেন উপজেলা প্রকৌশলী। বিষয়টি নিয়ে চন্দনাইশের বিভিন্ন মহলে আলোচনার ঝড় উঠেছে। তাহলে কি পার পেয়ে যাবেন যারা সরকারের এ বিশাল অংকের টাকা ভেস্তে যাওয়ার পেছনে যারা দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় এ বিষয়ে চুল-ছেঁড়া বিশ্লেষণ করছেন এলাকার সচেতন মহল।

 

 

 

 

 

 

 

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.