চন্দনাইশে ৯ কিলোমিটারে ২০টি মসজিদ

0

মো. দেলোয়ার হোসেন,চন্দনাইশ::দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৮ উপজেলার মধ্যে চন্দনাইশ মসজিদের উপজেলা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ৯ কিলোমিটার সড়কে ২০টি মসজিদ রয়েছে। একইভাবে গাছবাড়ীয়া-বরকল তথা শহীদ মুরিদুল আলম ৬ কিলোমিটার সড়কে ২০টি মসজিদ সহ প্রায় ৫শ মসজিদ চন্দনাইশের ১টি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নে রয়েছে বিধায় চন্দনাইশকে মসজিদের উপজেলা বলা বাহুল্য।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শঙ্খনদীর উপর স্থাপিত শঙ্খনদীর ব্রীজ থেকে চন্দনাইশের সীমানায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের দোহাজারী সদর এলাকায় পর পর ৩টি, ঈদ পুকুরিয়ায় ১টি, দেওয়ানহাটে ১টি, দেওয়ানহাটের উত্তর পার্শ্বের বটতলে ২টি, বড়পাড়ায় ১টি, খানবটতলে ১টি, বাগিচাহাটে ১টি, খানদীঘির কোনায় ১টি, খারাজির পাড়ায় ১টি, কলঘর এলাকায় ১টি, কলেজ গেইটে ১টি, খানহাটে ২টি, মাত্র কোয়াটার কিলোমিটারের মধ্যে নগর পাড়া এলাকায় উত্তর জোয়ারা মজিদিয়া জামে মসজিদ, নগরপাড়া শাহী জামে মসজিদ, ছৈয়দ আমির কুলাল পাড়া শাহী জামে মসজিদ, মোহাম্মদপুর রাস্তার মাথায় ১টি, কাঞ্চননগর উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন ১টি, শাহসুফী দরবারে ২টি, রওশনহাটে ১টিসহ ২০টি মসজিদ রয়েছে।

একইভাবে গাছবাড়ীয়া থেকে বরকল ব্রীজ পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সড়কে গাছবাড়ীয়া কলেজ গেইট সংলগ্ন বটতলে ১টি, এড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাড়ীতে ১টি, কাঞ্চনপাড়া জামে মসজিদ, কাজী বাড়ী জামে মসজিদ, কমর আলী সিকদার বাড়ী জামে মসজিদ, মধ্যম চন্দনাইশ মুন্সি আবদুর রহমান চৌধুরী জামে মসজিদ, আবদুল লতিফ শাহ্ (রহ:) মাজার সংলগ্ন ও হযরত আলী চাঁন ফকির (রহ:) জামে মসজিদ, মীর বাড়ী জামে মসজিদ, চন্দনাইশ থানা জামে মসজিদ, খানকায়ে কাদেরিয়া জামে মসজিদ, হযরত শাহ্ আমিন উল্লাহ্ (রহ:) জামে মসজিদ, উত্তর হারলা পূর্ব জোয়ারা মহিলা মাদরাসা সংলগ্ন জামে মসজিদ, পূর্ব জোয়ারা জামে মসজিদ, ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন জামে মসজিদ, পশ্চিম হারলা জামে মসজিদ, বাংলা বাজার জামে মসজিদ, গাবতল এলাকায় ১টি, মৌলভীবাজার জামে মসজিদ, কেশুয়া রাস্তার মাথা মাদরাসা সংলগ্ন ও কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন পৃথক ২টি জামে মসজিদ সহ ২০টি জামে মসজিদ রয়েছে। সে সাথে উপজেলা পরিষদের তথ্য অনুযায়ী চন্দনাইশে ১টি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নে প্রায় ৫শ ছোট-বড় মসজিদ নির্মাণ রয়েছে। তৎ মধ্যে চন্দনাইশ সদর হারলা নয়াহাট সংলগ্ন বধূ মাতব্বর জামে মসজিদটি নতুনভাবে প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে নতুনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। যা ১৮০৭ সালে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। একইভাবে কোটি টাকার ঊর্ধ্বে ব্যয়ে তিনতলা বিশিষ্ট নির্মিত হয়েছে উত্তর জোয়ারা মজিদিয়া জামে মসজিদ (প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৫০), নগর পাড়া শাহী জামে মসজিদ (স্বাধীনতা পরবর্তী), ছৈয়দ আমির কুলালপাড়া শাহী জামে মসজিদ (১৯৩০)।

এ সকল দৃষ্টিনন্দন মসজিদগুলো মহাড়কের পাশে নির্মিত হওয়ায় সবার নজর কাড়ে। একইভাবে চন্দনাইশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপকহারে মসজিদ সংস্কারের পাশাপাশি রয়েছে শাহসুফী দরবার শরীফ, সাতবাড়ীয়া হাফেজনগর দরবার শরীফ, হযরত আমিন উল্লাহ (রহ:) দরবার শরীফ, হযরত মামুন খলিফা (রহ:) দরবার শরীফ, হযরত মোস্তা আলী শাহ্ (রহ:) দরবার শরীফ, আবদুল লতিফ শাহ্ দরবার শরীফ সহ বেশকিছু অলিয়ে কামেলের মাজার সংলগ্ন মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সে হিসেবে প্রতিটি মসজিদে পর্যাপ্ত পরিমাণ মুসল্লীও রয়েছে বিধায় চন্দনাইশকে দক্ষিণ চট্টগ্রামের মসজিদের উপজেলা হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.