জীবন চলে এভাবেই

0

এম.এ.মজিদ::চৈত্রের কাঠফাটা রোদ আর গরমে হাঁপিয়ে উঠেছে মানুষ। ঘড়ির কাটা তখন দপুর ১২ টার কাছাকাছি। তীব্র রোদ আর যানবাহনের শব্দে শহর যখন মাতোয়ারা, ঠিক তখনই একদল কিশোর দিচ্ছেন একটু প্রশান্তির ঘুম ।এ সময়ে তাদের স্কুলে থাকার কথা ছিল। তবে নিয়তি তাদের ডেকে আনল ফ্লাইওভারের নিচে।তাদের অবস্থা জানার জন্য কথা বলার প্রয়োজন নেই। এই বিমর্ষ চেহারা ও ঘুমন্ত শরীরগুলোই বলে দেয় তারা কত ক্লান্ত। অন্য কিশোরদের মত যে বয়সে তাদের স্কুলে যাওয়ার কথা ছিল, সে বয়সে তারা নেমে পড়ল জীবন-জীবিকার জন্য। বস্তা নিয়ে ঘুরে বেড়ান শহরের অলি-গলিতে। খুঁজেন প্লাস্টিকের বোতল ও বিভিন্ন পরিত্যক্ত গৃহস্থালী পণ্য। পরে তা ভাঙ্গারি দোকানে বিক্রি করে। এভাবেই চলে তাদের জীবন।

টোকাই, ছিন্নমূল শিশু বা পথ শিশু যে নামেই ডাকা হোক না কেন পথই ওদের বাড়ি, পথই ওদের ঘর। শহরের বিভিন্ন রাস্তাঘাট, হোটেল-রেষ্টুরেন্ট, অফিস-আদালতের সামনে ওদের বিচরণ, দিনরাত জীবন যাপন। এসব শিশুরা বেড়ে উঠেছে অধিকার বঞ্চনার অনিশ্চিত জীবনকে সঙ্গী করে। আশ্রয়হীনতা, দরিদ্রতা, জন্ম পরিচয় না থাকার কারণেই ওরা পথ শিশু হিসেবে গণ্য হচ্ছে। মৌলিক অধিকার বঞ্চিত এসব শিশুরা দেশের বোঝা হয়ে অনিশ্চিত ও নিরাপত্তাহীনতার মাঝে বেড়ে উঠছে।সরকার ও সামজের বিত্তবানদের একটু সহানুভুতিই পারে তাদের জীবন বদলে দিতে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.