তিন জেলায় পাহাড় ধসে মৃতের সংখ্যা ১৩৫
সিটিনিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রাম বিভাগের তিন জেলায় টানা দুইদিনের ভারি বর্ষণে পাহাড় ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী রাঙামাটিতে ৯৮ জন, চট্টগ্রামে ৩১ এবং বান্দরবানে ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রাঙামাটিতে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ৫০ জনকে। রাঙামাটি সদর, কাউখালী, কাপ্তাই ও বিলাইছড়ি উপজেলায় পাহাড়ধসে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার রাতে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান ৯৮ জন নিহত হবার খবর নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে চট্টগ্রামে সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত বিভিন্ন উপজেলায় পাহাড় ধসে ৩০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ১৭ জন্য। রাঙ্গুনিয়ার ইসলামপুর ও রাজানগর ২৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ৫ জন। চন্দনাইশে ৪, রাউজানে ২, বাশঁখালীতে ১ ও চট্টগ্রাম মহানগরে দেয়াল ধসে ১ জন নিহত হয়েছেন।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের স্টাফ অফিসার ইশতিয়াক আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অপর দিকে টানা বর্ষণে পাহাড় ধসে বান্দরবানে শিশুসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ১১ জন।
মঙ্গলবার ভোরে বান্দরবানের লেমুঝিরি ভিতরপাড়া থেকে একই পরিবারের তিন শিশু, আগাপাড়ায় মা-মেয়ের এবং কালাঘাটায় এক কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন লেমুঝিরির বাসিন্দা সমুন বড়ুয়ার তিন সন্তান শুভ বড়ুয়া (৮), মিতু বড়ুয়া (৬) ও লতা বড়ুয়া (৪); আগাপাড়ার কামরুন নাহার (২৭) ও তার মেয়ে সুখিয়া আক্তার (৮) এবং কালাঘাটার কলেজছাত্র রেবা ত্রিপুরা (১৮)।
এছাড়া টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে চট্টগ্রামের সঙ্গে দুই পার্বত্য জেলা রাঙামাটি ও বান্দরবানের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
সড়কের বিভিন্ন জায়গায় পানি উঠায় মঙ্গলবার সকাল থেকে চট্টগ্রামের সঙ্গে বান্দরবান, রাঙামাটি ও কক্সবাজারের যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায় বলে জানায় হাইওয়ে পুলিশ।
জানা যায়, রাউজান দাইয়ার ঘাটা থেকে চড়া বটতল পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানিতে সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় চট্টগ্রামের সঙ্গে রাঙামাটির সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এছাড়া বান্দরবান সদরের লালমোহন বাগান এলাকায় গাছ ভেঙে রাস্তায় পড়ায় চট্টগ্রামের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পাশাপাশি জেলার পুলপাড়া ব্রিজ ডুবে যাওয়ায় বান্দরবানের সঙ্গে রাঙামাটির সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।