তৃতীয় দফায় স্থগিত হলো বাঁশখালীর নির্বাচন

0

বাঁশখালী প্রতিনিধি: বাঁশখালী উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ২০১৬ সালের ৪ জুন। ১ জুন স্থানীয় সাংসদ ও নির্বাচন কর্মকর্তার মধ্যে সংঘটিত ঘটনার জের ধরে মুহুর্তের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় বাঁশখালীর নির্বাচন। এরপর রোয়ানু, হাইকোর্টের রিটসহ নানা অভিযোগে দীর্ঘদিন চলে যায়। পরবর্তীতে পুনরায় ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয় ১২ই নভেম্বর। তাতেও বেঁকে বসেন কতিপয় ব্যক্তিবিশেষ। যার ফলে ওই সময়ের নির্বাচনও স্থগিত হয়ে যায় হাইকোর্টের নির্দেশে।

সর্বশেষ গত ৮ মার্চ পুনরায় নির্বাচন কার্যালয় থেকে যে অবস্থা থেকে শেষ হয়েছে সে অবস্থা থেকে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য তারিখ নির্ধারণ করেন ১৬ই এপ্রিল। এই লক্ষ্যে ইতিমধ্যে প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং, পোলিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করা হয়। প্রার্থীদের নিয়ে আইন শৃংখলা সমাবেশে জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করার জোরালো বক্তব্য উপস্থাপন করেন ৯ এপ্রিল। ১০ এপ্রিল বিকাল গড়াতে গড়াতেই সবার মুখে মুখে রটে যায় আবারো স্থগিত হয়েছে নির্বাচন। উপজেলা সদরে বেশ কয়েকজন প্রার্থী ও ভোটারের সাথে দেখা হলে তারা ক্ষোভ ঝাড়েন এই ভোট নিয়ে।

তবে সন্ধ্যায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাঁশখালী নির্বাচন কর্মকর্তা খ.ম. আরিফুল ইসলামের কাছে কোন ধরনের দিক নির্দেশনা আসেনি বলে তিনি জানান। তবে তিনি টিভি এবং অনলাইন মিডিয়াতে এই সংবাদ দেখেছেন বলে নিশ্চিত করেন। সূত্রমতে বাঁশখালীর ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন ফের স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ স্থগিতাদেশ দেন। রুলে নতুন গেজেটে পুনরায় তফসিল ঘোষণা না করে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। এবার রিট করেছেন সরলের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী জাফর আহমদ। যিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও নির্বাচনী কর্মকর্তার কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সাক্ষী হাজির করতে না পারার অজুহাতে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। তবে সে সময় প্রার্থী জাফর আহমদ অন্য কথা বললেও সেই কথাটি বেশিদূর এগুতে পারেনি। এদিকে হাইকোর্টের আদেশের ব্যাপারে এডভোকেট মুজিবুর রহমান বলেন, বাঁশখালীর ১৪ ইউপিতে গত বছরের জুনে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছিল। আগামী ১৬ এপ্রিল পুনরায় ভোটগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।

অথচ প্রতি বছরের ৩০ জানুয়ারি ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়। তাই চলতি বছরের হালনাগাদকৃত ভোটার তালিকায় যারা অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন, তারা ১৬ এপ্রিলের ভোটে অংশ নেওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন। বাঁশখালীর ১৪টি ইউনিয়নের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৭১ জন, সংরক্ষিত মহিলা আসনে ১৩১ জন এবং সাধারণ সদস্য আসনে ৫৫৫ জন প্রার্থী নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে আসছিল।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.