স্পোর্টস ডেস্ক:: দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে আর কি লজ্জা অবশিষ্ট আছে টাইগারদের জন্য? টেস্ট সিরিজে অসহায় আত্মসমর্পনের পর ওয়ানডে সিরিজেও গল্পটা বদলায় নি। এখানেও হোয়াইটওয়াশ। প্রথম ওয়ানডেতে ১০ উইকেটে হারের পর দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১০৪ রানে হার। রোববারের হারটিতো পুরো ২০০ রানের। ব্যর্থতার ষোল করা পূরণের প্রতীকী যেন বাংলাদেশের এই ডবল হানড্রেটের হার। এই সফরে দুঃস্বপ্নের আর কিছুই বাকী নেই আসলে। তবে শেখার আছে অনেক কিছুই। বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা তাই এই সফরকে সতর্ক সংকেত বলে উল্লেখ করছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধ কন্ডিশন। সেখানে জয় পাওয়া তো পরের ব্যপার। তাই বলে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দাঁড়াতেই পারবে না বাংলাদেশ। সর্বশেষ ৩ বছরে বাংলাদেশের উন্নতির গ্রাফটা সেই সংকেত দেয়নি। তবে দক্ষিণ আফ্রিকায় যা হলো তাকে কিন্তু ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক সংকেত বলে দিচ্ছেন মাশরাফি, ‘এই সফর বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য শতর্ক সংকেত। সামনে অনেক দ্বিপাক্ষিত সিরিজ আছে। বিশ্বকাপ আছে। প্লেয়িং ইউনিট হিসেবে এই জিনিস গুলো আমাদের দ্রুত শুধরাতে হবে।’
বোলিং কিংবা ব্যাটিং কোন বিভাগেই বাংলাদেশ নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি। নিজেরা বোলিং করলে প্রতিপক্ষের জন্য তা হয়েছে ব্যাটিং স্বর্গ। আর নিজেরা ব্যাটিংয়ে নামলে তা হয়েছে বোলিং স্বর্গ। মাশরাফি কি এই কথাকে বিরোধিতা করতে চাইছেন? তার বলা এই কথা কিন্তু সেটিই বলে, ‘আমি মনে করি বোলিং-ব্যাটিংয়ে আমরা মোটেও আত্মবিশ্বাসি ছিলাম না। আমরা কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারিনি। তবে এটা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকেই চলে আসছে। আমাদের দ্রুত উন্নতি করতে হবে। নইলে বিদেশের মাটিতে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সিরিজগুলো ক্রমেই কঠিনতর হয়ে যাবে।’
আর উন্নতি করার ক্ষেত্রে নিজেদেরকেই দায়িত্ব নিতে বলছেন মাশরাফি, ‘কোন ব্যাটসম্যান বা বোলারই দায়িত্ব নিতে পারেনি। আমি মনেকরি আমরা সবাই খুঁজে বের করতে পারবো কেন নিজেরা ভালো খেলতে পারি না। আমি জানিনা আগামী কিছু দিন ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকায় এই দুর্দশা কাটিয়ে উঠা যাবে কিনা। এটা দীর্ঘ সময়ের ব্যপার, দীর্ঘ প্রক্রিয়া। পরবর্তি সফরে যাওয়ার আগে আমাদের এই ধরণের উইকেটে খেলতে তৈরি হতে হবে।’
টেস্ট ও ওয়ানডের মিশন শেষে বাংলাদেশের পরের ধাপ এখন টি-টুয়েন্টি সিরিজ। দুই ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজের ম্যাচ দুটি অনুষ্ঠিত হবে ২৬ ও ২৯ অক্টোবর।