দেড় হাজার একর জমির বারো ধান পানির নিচে

0

বশির আল মামুন,চকরিয়া : চকরিয়া উপজেলা বরইতলী , কৈয়ারবিল ও হারবাং ইউনিয়নে প্রায় দেড় হাজার একর জমির পাকা বোরো ধান এখনো পানির নিচে রয়েছে। ওই ইউনিয়ন গুলোর তিনটি ছড়াখাল দিয়ে দ্রুত পানি নিস্কাসন না হওয়ায় মাঠেই পাঁকা ধান ও সবজি ক্ষেত পানিতে পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে লাখ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ওই তিন ইউনিয়নের শতশত কৃষক। তাদের বেচে থাকার স্বপ্ন পানির ডুবে গেছে।

জানা যায়, উপজেলার বরইতলী, কৈয়ারবিল ও হারবাং ইউনিয়নের নলবিলা, বানিয়াছড়া, পহরচাঁদা বিলের এলাকার প্রায় দেড় হাজার একর জমিতে এ বছর বোরো চাষ করা হয়েছে। এছাড়াও ওইসব জমিতে বোরো ধানের পাশাপাশি তামাক, মরিচ, বেগুন, টমোটো, আলো, করলা, বরবটি, বাদামসহ বিভিন্ন ধরণের সবজি ক্ষেত করেছে কৃষকরা। এসব চাষাবাদে স্থানীয় কৃষকরা লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছে। মূলত কৃষি কাজের উপর নির্ভর করে তাদের জীবন জীবিকা চলে। ইতোমধ্যে কিছু সবজি ক্ষেত থেকে উত্তোলন করলেও বেশির ভাগ সবজি এখনো মাঠে রয়ে গেছে।

কৃষকরা জানান, দুই সাপ্তাহ পূর্বে টানা তিন দিন মুষলধারে বৃষ্টি হলে সেখানেই কৃষকের স্বপ্ন ধুলিসাৎ হয়ে যায়। টানা বৃষ্টিতে মাঠের মধ্যে পাকা বোরো ধান সহ বিভিন্ন ধরণের সবজি পানির নিচে চলে যায়। তবে সবচেয়ে ক্ষতির মধ্যে রয়েছে ওই এলাকার বোরো ধান। শতশত একর জমির পাকা বোরো ধান যথা সময়ে কর্তন করতে না পারায় পচন ধরেছে। অনেক জমিতে ঠিকমতো ধানও পাকেনি। এরপরও কৃষকরা মাঠ থেকে কাচা ধান কেটে নৌকা নিয়ে ঘরে তুলছে। এবারের বোরো ধান ও সবজিতে কৃষকের লগ্নিকৃত টাকা উঠবে না বলে জানান অনেক কৃষক।

ওই এলাকার কৃষকরা জানান, বরইতলী ইউনিয়নের সোনাইছড়ি ছড়াখাল, কুতুবখালী ছড়াখাল ও বানিয়াছড়া খাল গুলো ভরাট হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে ওইসব ছড়াখাল সংস্কার বা খনন কাজ না করায় সহজে পানি নিষ্কাষন হতে পারছে না। সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দ্রুত সময়ে খাল গুলো সংস্কার করলে সহজে পানি নেমে যেতো। এতে করে শতশত কৃষকের বোরো ধান কিছুটা হলেও পানির ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতো।

বরইতলী ইউনিয়নের কৃষক আবুল কালাম, নুরুল ইসলাম ও কামাল উদ্দিন জানান অসময়ে বৃষ্টি হওয়ায় বোরো ও বিভিন্ন ধরণের সবজি ক্ষেত ধ্বংস হয়ে গেছে। এখনো কয়েক হাজার একরের ধান ও সবজি পানির নিচে রয়েছে। অনেক স্থানে ধান পাকা শুরু করেছে।কিন্তুবিলে পানি থাকায় ধান কাটতেপারছি না।

তারা আরও জানান, বরইতলী ইউনিয়নের সোনাইছড়ি ছড়াখাল, কুতুবখালী ছড়াখাল ও বানিয়াছড়া খাল গুলো ভরাট হয়ে গেছে। পানি সহজে যেতে পারছে না। বিলের মধ্যে পানি থাকায় বোরো ধান পচন ধরেছে। অনেক সবজি পচে গেছে। অনেক কৃষক সর্বশান্ত হয়ে গেছে। দ্রুত সময়ে খাল গুলোর ভরাট হওয়া সরিয়ে দিলে কিছুটা হলেও রক্ষা ধান ও সবজি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.