নিজাম হাজারীর সংসদ সদস্য পদ নিয়ে রায় ৩০ আগস্ট

0

সিটিনিউজবিডি : ফেনী-২ আসনের আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম উদ্দিন হাজারীর সংসদ সদস্য পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের রিটের রায় পিছিয়ে আগামী ৩০ আগস্ট ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার বিচারপতি ইমদাদুল হক ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

উল্লেখ্য, ‘সাজা কম খেটেই বেরিয়ে যান সংসদ’ শিরোনামে ২০১৪ সালের ১০ মে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনটি যুক্ত করে নিজাম হাজারীর সংসদ সদস্য পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন ফেনী জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া।

রিটে বলা হয়, সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুসারে, কোনো ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার এবং সংসদ সদস্য থাকার যোগ্য হবেন না, যদি তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কমপক্ষে দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছর অতিবাহিত না হয়ে থাকে।

সে হিসেবে নিজাম হাজারী ২০১৫ সালের আগে সংসদ সদস্য হতে পারেন না। অথচ তিনি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে সংসদ সদস্য হয়েছেন।

রিট আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের ৮ জুন হাইকোর্ট রুল দেন।

কোন কর্তৃত্ববলে তিনি এমপি পদে দায়িত্ব পালন করছেন রুলে তা জানতে চাওয়া হয়।

এরপর হাইকোর্টের দুটি বেঞ্চ এই রুল শুনানিতে বিব্রত বোধ করেন। তারপর বিচারপতি মো. এমদাদুল হকের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে রিটটি শুনানির জন্য পাঠান প্রধান বিচারপতি।

এই বেঞ্চে গত ১৯ জানুয়ারি রুল শুনানি শুরু হয়। শুনানিকালে ২৬ মে হাইকোর্টের এই বেঞ্চ এক আদেশে বলেন, কারা কর্তৃপক্ষকে কয়েকটি বিষয় আদালতকে জানাতে হবে।

প্রথমত, অস্ত্র মামলায় নিজাম হাজারীর কারাদণ্ডের যে সাজা হয়েছিল, তাতে তিনি কোনো রেয়াত পেয়েছিলেন কি না। দ্বিতীয়ত, সাজা রেয়াত করা হয়ে থাকলে ঠিক কতদিনের জন্য তা করা হয়েছিল। তৃতীয়ত, সাজা ভোগ ও রেয়াত করা সাজার একটি পূর্ণাঙ্গ হিসাব দিতে হবে। সে সঙ্গে সাজা রেয়াতের সিদ্ধান্ত-সংশ্লিষ্ট নথিপত্র এই হিসাবের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে।

কারা কর্তৃপক্ষ সে আদেশ অনুযায়ী ১৯ জুলাই প্রতিবেদন পাঠায়। এরপর এ বিষয়ে গত ১৬ আগস্ট শুনানি শেষে আজকের রায়ের দিন ধার্য করেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.