নিজস্ব প্রতিবেদক,সিটিনিউজ::বাঁশখালী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ভেতরেই স্থাপিত হয়েছে দোকানটি। মজার ব্যাপার, দোকানে কোনো মালিক বা বিক্রেতা নেই। আছে শুধু একটি ক্যাশ বাক্স। ক্রেতা হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। দাম লেখা আছে জিনিসের গায়ে। পছন্দের জিনিসটি কিনে শিক্ষার্থীরা টাকা ক্যাশ বাক্সে রেখে আসবে।
এভাবে মালিক বিহীন দোকান থেকে টাকা দিয়ে জিনিস কিনে আনার মধ্য দিয়ে চর্চা হবে সততার। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যেন শিশুকাল থেকে চুরি করা, ঠকানো ইত্যাদি মানসিকতা, পরিহার করে সৎভাবে জীবন যাপনের অভ্যস্থ হয় সেই লক্ষ্যে এই সততা স্টোর।
বাঁশখালী উপজেলা সদরস্থ বাঁশখালী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন চট্টগ্রামের উদ্যোগে ও বাঁশখালী উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির তত্ত্বাবধানে আনুষ্ঠানিকভাবে ১২ আগস্ট শনিবার সততা স্টোরটি উদ্বোধন করেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার রুহুল আমিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, পিছিয়ে পড়া অজোপাড়া গ্রামে বিক্রেতা বিহীন সততা স্টোর স্থাপন করা নিসন্দেহে প্রশংসনীয়। সততার মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয়ের যে শিক্ষা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দেওয়া হচ্ছে তা দেশে বিরল। আমি আশা করি এই শিক্ষার্থীরাই দেশ ও সমাজের কল্যাণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
বাঁশখালী উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি তাপস কুমার নন্দী বলেন, বাঁশখালী উপজেলায় ইতিমধ্যে ২৬টি মাধ্যমিক স্কুল, ১৬টি মাদ্রাসা ও ৫টি কলেজে ইতিমধ্যে সততা সংঘ গঠন করা হয়েছে। এই সততা সংঘের সদস্যরাই সততা স্টোর পরিচালনা করবে। ইতিমধ্যে ৯টি বিদ্যালয়ে সততা স্টোর স্থাপন করা হয়। দ্রুত সময়ে বাঁশখালীর সব স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় সততা স্টোর স্থাপন করা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো: জিল্লুর রহমান চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক দীপক চক্রবর্ত্তী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাসুদুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম, পৌর মেয়র সেলিমুল হক চৌধুরী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বদরুল হক, উপজেলা নির্বাহী কহর্মকর্তা কাজী মো: চাহেল তস্তরী, অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইসতিয়াক আহমেদ, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রবিউল হোসেন, প্রধান শিক্ষক মনোতোষ দাশ, মুক্তিযোদ্ধা স্বপন ভট্টাচার্য, সাংবাদিক অনুপম কুমার দে অভি, আসিফুল হক চৌধুরী, মো: জোবায়দুর রশিদ রনিসহ উপজেলা প্রতিরোধ কমিটির কর্মকর্তাবৃন্দ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।