পটিয়ায় ক্যামিকেল মিশ্রিত কৃত্রিম ডিম নিয়ে ধোয়াশা
সুজিত দত্ত, পটিয়া,সিটিনিউজ : চট্টগ্রামের পটিয়ায় মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ক্যামিকেল মিশ্রিত কৃত্রিম ডিম উদ্ধার নিয়ে ধোয়াশার সৃষ্ঠি হয়েছে। এতে উদ্ধারকৃত ডিমের দোকানী দাবি করেছেন এটি কৃত্রিম উপায়ে তৈরি ক্যামিকেল মিশ্রিত ডিম নয়, হয়তো গরমে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এ ডিমকে ক্যামিকেল মিশ্রিত ডিম হিসেবে অনুমান করা হচ্ছে। এব্যাপারে পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ নেয়ামত উল্লাহ বলেন, আমরা সন্দেহজনক ভাবে এ ডিম উদ্ধার করেছি। এখন এগুলো জেলা পশু সম্পদ হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে।
বিজ্ঞ আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা ২/১ দিনের মধ্যে এগুলো পশু হাসপাতালে প্রেরণ করব। সেখানের পরীক্ষাগার থেকে রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত এ ব্যাপারে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে প্রতিক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ায় এখন ডিম খাওয়া না খাওয়া নিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় পটিয়া যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বোয়ালখালী আদালতের বিচারক মনির হোসেন ষ্টেশন রোডের কামাল বাজার থেকে অর্ধ ডজন ডিম ক্রয় করেন। পরে বাসায় গিয়ে সেই ডিম দিয়ে নুড্লস তৈরি করা হয়। কিন্তু সে ডিম তার অস্বাভাবিক মনে হলে তিনি বিষয়টি থানা পুলিশকে জানান। পুলিশ কামাল বাজারের উক্ত দোকানে অভিযান চালান এবং দোকান থেকে আরমান ও আরাফাত নামে দুজনকে আটক করেন।
দোকান মালিক মো: আরাফাত জানান, তিনি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার এসএইচ পোলট্রি এ্যান্ড ফিড নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ডিম গুলো ক্রয় করে বিক্রি করে আসছেন।
পুলিশের ধারণা প্লাস্টিক জাতীয় পদার্থ দিয়ে তৈরি নকল ডিমগুলো কক্সবাজার থেকে একটি সিন্ডিকেট পটিয়াসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাজারজাত করে জনস্বাস্থ্যকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক মোশারফ হোসেন জানান, আসামীদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের প্রস্তুতি চলছে। এর আগে এ এস আই মোস্তফা আল মামুন বাদী হয়ে প্লাস্টিক ডিম বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা রুজু করেন।
এ ব্যাপারে পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ নেয়ামত উল্লাহ বলেন, প্লাস্টিক জাতীয় পদার্থ দিয়ে তৈরি নকল ডিম বাজারজাত করার ঘটনায় ২ জনকে আটক করা হয়েছে এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটিয়া স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা: শফিকুল ইসলাম বলেন, ক্যামিকেল দিয়ে তৈরি নকল প্লাস্টিকের ডিম মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এটি গ্রহণ করলে লিভার, কিডনি নষ্টসহ মরণব্যাধি ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।