‘পিতার অস্তিত্বকে অস্বীকার করে পাপ করেছেন’

0

বোয়ালখালী প্রতিনিধি ::প্রধান বিচারপতিকে উদ্দেশ্যে করে চট্টগ্রাম ৮ আসনের সাংসদ বাদল বলেছেন, ‘রায়ে আপনি যে উক্তিটি করেছেন তাতে পাপ করেছেন, আপনি আপনার পিতার অস্তিত্বকে অস্বীকার করেছেন।’

এসময় তিনি বলেন, ‘বাঙালির ইতিহাস ৩ হাজার বছরের। তখনকার বাদশা-নবাবরা বাঙালি ছিলেন না। সে সময়ের রথী মহারথীরা বাঙালিকে স্বাধীন ভূখন্ড দেয়নি। আমরা স্বাধীন ছিলাম না।’

সাংসদ বলেন, ‘যিনি এদেশকে স্বাধীনতা দিয়েছেন তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি এ ভূমির নির্যাস নিয়ে বড় হয়েছেন। তিনি আপাদমস্তক বাঙালি ছিলেন। অথচ একটি রায় দিয়ে দিলেন কোনো একক ব্যক্তি স্বাধীনতা আনেননি, কোনো একক ব্যক্তি এ দেশ বানাননি ও জাতি বানাননি।’

রবিবার (৬ আগস্ট) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা ঐক্য পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে ট্রেড মার্ক বানিয়ে নাম বিক্রি করে বাড়ি গাড়ি বানিয়ে বঙ্গবন্ধুর সৈনিক পরিচয় দিচ্ছেন অথচ তাঁর জীবনাদর্শকে ধারণ করছেন না। চাকুরীর নামে টাকা নিচ্ছেন অডেল সম্পত্তি মালিক বনে যাচ্ছেন। এসব ভাওতাবাজি ধাঁন্ধাবাজি বন্ধ করেন। মুজিবকে মানলে তার জীবনার্দশকেও মানতে হবে। এসময় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি আবেগ আপ্লুত হয়ে নিজে কাঁদলেন ও কাঁদালেন সবাইকে।

প্রধান আলোচক চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মুক্তিযোদ্ধা ড. মনির উজ-জামান বিপিএম পিপিএম বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি চারণ করে বলেন, আপাদমস্তক দেশপ্রেমে ঢাকা একজন মানুষ ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। শৈশব থেকে তিনি মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন মানুষ ছিলেন। যেদিন তাঁকে বাঙালিরা নির্মমভাবে হত্যা করতে গিয়েছিল, সেদিনও তিনি বিশ্বাস করতে পারেননি তাঁকে হত্যা করা হবে। অথচ তিনি আমাদের একটি স্বাধীন দেশ, মানচিত্র দিয়েছেন। বিশ্বাসঘাতক বাঙালি সে দিন কেউ রাস্তায় নেমে আসেনি।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাইলে আরাম আয়েশে দিন যাপন করতে পারতেন। তিনি বঙ্গবন্ধু স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে মৃত্যুকে উপেক্ষা করে দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। দেশেকে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ, মাদকমুক্ত বিশ্বের উন্নত দেশে পরিণত করতে তিনি নিরলস পরিশ্রম করছেন। ঠিক তেমনি ১৬ কোটি মানুষের ৩২ কোটি হাত যদি কাজে লাগাই তবে এদেশ অবশ্যই উন্নত দেশে পরিণত হবে।

এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা ঐক্য পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী মো. হারুন মিয়া, সদস্য সচিব বনগোপাল দাশের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) এমরান হোসেন ভূঁইয়া, সহকারী পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া আখতার, থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সালাহ উদ্দিন চৌধুরী, জেলা পরিষদ সদস্য মো. ইউনুচ, আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল আলম, মুক্তিযোদ্ধা এসএম সেলিম, রেজাউল করিম বাবুল, উপজেলা জাতীয় পাটির সভাপতি আমান উল্লাহ আমান। সভায় সভাপতিত্ব করেন বোয়ালখালী মুক্তিযোদ্ধা আহমদ হোছাইন।

এছাড়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা ঐক্য পরিষদ মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ও মেজবানের আয়োজন করে।

 

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.