প্রবাসীদের অর্থ দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করছে- সিরাজুল হক

0

দিলীপ তালুকদার,সিটিনিউজ :: চট্টগ্রামের অনেক প্রবাসী মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ব্যবসা বাণিজ্য ও চাকুরী করার পাশাপাশি অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদেও অধিষ্ঠিত সিরাজুল হক সভাপতি ওমান সোশ্যাল ক্লাব, ওমান। চট্টগ্রামের রাউজানের সন্তান।

দীর্ঘকাল যাবত ব্যবসায় আছেন ওমানে। ওমান সরকারের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ও সাড়ে সাতলাখ প্রবাসী বাংলাদেশী অধ্যুষিত ওমানে বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাবের সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন সম্প্রতি সময়ে।

গত সপ্তাহে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে এক একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সোশ্যাল ক্লাব ওমানের সোশ্যাল মন্ত্রনালয় কর্র্তৃক স্বীকৃতি দেওয়া ও ক্লাব গঠনে সহায়তা করার কারণ হল, আমাদের দেশের সাহিত্য, সংস্কৃতি, ঐতিজ্য, ইতিহাস, কৃষ্টি, তাদের দেশের সাথে আদান প্রদান করা বা পরিচিতি হওয়া। ক্লাবের মুল কাজটা এটাই।

ওমানে যে সাড়ে ৭ লাখ বাঙালি আছেন তাদের ওমানের আইন-কানুন, নিয়ম নীতি সম্পর্কে সচেতন করা। মানুষের দেশপ্রেমে উদ্ভুদ্ধ করা। মন্ত্রনালয়ের একটি নির্দেশও আছে।

প্রত্যেক মাসে বিভিন্ন শহরে গিয়ে প্রবাসীদের সাথে মতবিনিময় করা। তিনি বলেন, সোশ্যাল ক্লাবের গঠনতন্ত্রের দুই নং ধারাতেই আছে, সে দেশের নাগরিকদের শ্রদ্ধা করা।

আচার-আচরণ, কথাবার্তাও সংযতভাবে করতে হবে। এছাড়া বাংলাদেশের জাতীয় দিবসের যে সব কর্মসূচী যেমন, বিজয় দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারী, স্বাধীনতা দিবস সহ অনুষ্ঠানগুলো যথাযোগ্য মর্যদায় পালন করা। ঈদ পৃনর্মিলনী ও ঈদ এ মিলাদুন্নবী (সঃ) পালন করা।

আমাদের দেশের সুনাম যেন কোনভাবে বিঘ্নিত না হয়, সে দিকে আমাদের সুদৃষ্টি থাকে। সোশাল ক্লাবই একমাত্র বৈধ সংগঠন। ওমান সরকারী সন্ত্রণালয় হতে সোশাল ক্লাবের অনুমতি ছাড়া কোন রকম অনুষ্ঠান ওমানে করা যাবে না।

৩০ জনের বেশী হলে তিনমাস পূর্বে অনুমতি নিতে হবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে। হোটেলে অনুষ্ঠান করতে হলেও অনুমতি লাগবে।

ক্লাবের সদস্যরা যখন অনুমতি চায় অনুষ্ঠানের, তখন মন্ত্রনালয়কে জানিয়ে অবহিত করার পর তারা অনুমতি দেওয়ার পর একটি সিকিউরিটি সংস্তাকে দেয়। এরপর কপি দিতে হয় পুলিশকে। এরপর অনুমতি মিললে অনুষ্ঠান করা যায়।

বিশিষ্ট্য সংগঠক, সমাজসেবক ওমান সোশাল ক্লাবের সভাপতি সিরাজুল হক বলেন, বর্তমানে সোশাল ক্লাবের সদস্য সংখ্যা সাড়ে ৪ শত। ইসি কমিটি ১১ জনের।

সোশাল ক্লাব আমাদের দেশের যে কোন দূর্যোগ পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা বা প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। সিডর, আয়লা, মোরা সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগে আমাদের ত্রাণ ও অর্থ দেশে পাঠিয়েছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে আমাদের সম্পর্কও চমৎকার। দূতাবাসের যখন জনবল কম থাকে, আউট পাস যখন দেওয়া হয় তখন সোশাল ক্লাব সহযোগীতা করে।

ওমানে বাংলাদেশীদের ভিসা আছে। ব্যবসার দিকে ওমানে বাংলাদেশীরা শীর্ষে আছে। বাংলাদেশীরা সুনামের সাথে কাজ করছে। সোশাল ক্লাবের বর্তমান কমিটির অনুমোদন মে মাসে হয়েছে।

বিশিষ্ট সংগঠক সিরাজুল হক বলেন, দেশ এগিয়ে চলছে। স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে সহায়তা করতে প্রবাসীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা প্রবাসে থাকলেও মন পড়ে থাকে দেশে। দেশকে বুকে ধারণ করে বিদেশে আছি।

তিনি বলেন, প্রবাসীদের অর্থ দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করলেও প্রবাসীরা অবহেলিত। বিমানবন্দরের হয়রানী থেকে শুরু করে নানা হযরানীর মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

চট্টগ্রামে প্রবাসীদের আবাসন সমস্যা সমাধানে পৃথক কোন প্রবাসী পল্লী গড়ে উঠেনি। প্রবাসীদের নিরাপত্তা, ব্যাংক ঋণ, আবাসন সহ অনেক সমস্যা দীর্ঘদিনের। সরকার এসব বিষয়ে আন্তরিক হবেন বলে আমার বিশ্বাস।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.