প্রয়োজনে সেনা মোতায়েন চায় গণফ্রন্ট

0

সিটিনিউজ ডেস্ক:: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একটি নির্বাচনকালীন সরকারের পাশাপাশি প্রয়োজনে অবশ্যই সেনাবাহিনী মোতায়েন করার দাবি জানিয়েছে গণফ্রন্ট। আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে বুধবার বেলা ১১ টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় এসব দাবি তুলে ধরে দলটি। সভায় গণফ্রন্টের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেনের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

দলটির লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, বর্তমান সরকারকে সংবিধান সংশোধন করে হলেও (তত্ত্বাবধায়ক নয়, অরাজনৈতিক সরকার নয়) একটি নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করতে হবে। স্বাধীনতার পরে যে সকল নিবন্ধিত দলের সংসদে প্রতিনিধিত্ব ছিল (‘বিতর্কিত’ নির্বাচন যেমন ৮৮, ৯৬ এবং ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ব্যতীত) তাদের  সমন্বয়ে একটি সরকার গঠন করা যেতে পারে। প্রয়োজনে সমঝোতার মাধ্যমে সে সরকারের প্রধান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। তবে নির্বাচনকালীন সরকারের কেউ জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না।

এছাড়া নির্বাচনে ভয়ভীতিমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর পাশাপাশি প্রয়োজনবোধে সেনা সদস্য মোতায়েন করতেই হবে বলেও দলটি দাবি করে।

এছাড়া অন্যান্য দাবি সমূহের মধ্যে রয়েছে— দলের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য নাম স্বর্বস্ব, প্যাড স্বর্বস্ব, অফিসবিহীন রাতারাতি গড়ে উঠা অনিবন্ধিত দলগুলো যাতে নিবন্ধিত দলের সাথে জোট করতে না পারে এ জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা; নির্বাচনের অন্তত ছয় মাস পূর্বে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের দলীয় প্রধানের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা; জাতীয় সংসদের সীমানা পুনর্বিন্যাস করার জন্য আইনী কাঠামো সংস্কার করা, পাশাপাশি বাস্তবতার নিরিখে আসন সংখ্যারও বৃদ্ধি করা। সংসদের আসন নূন্যতম সংখ্যা ৩৫০/৪৫০টি করা; প্রবাসীদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা এবং তাদেরকে সহজে ভোটাধিকার প্রয়োগের ব্যবস্থা করা; একই পোস্টারে সকল প্রার্থীর পরিচয় ও প্রতীক এবং নির্বাচনী জনসভা একই মঞ্চে সকল প্রার্থীর বক্তব্যের ব্যবস্থা করা এবং দেশ, জনগণ, গণতন্ত্রের স্বার্থে বিতর্কিত নির্বাচন নয়, সকল দলের অংশগ্রহণে নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছ একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা ইত্যাদি।

এছাড়া বিকেল ৩ টায় গণফোরামের সঙ্গে কমিশনের মতবিনিময়ের কথা রয়েছে।

গত ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধি দিয়ে সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন। এরপর ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসে ইসি।

আর গত ২৪ আগস্ট থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসেছে নির্বাচন কমিশন। এখন পর্যন্ত ১৫ টি রাজনৈতিক দল এই সংলাপে অংশ নিল।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.