কাজী ইব্রাহিম সেলিম :গত বর্ষার তুলনায় এবারে প্রবল বর্ষণ হতে পারে তার সংকেত আগাম পাওয়া গিয়েছিল।বর্ষা আসার পূর্বেই দু’দফা জলাবদ্ধতার ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে নগরবাসীকে। চট্টগ্রাম নগরীতে গত ৪ ও ৫ এপ্রিল জলাবদ্ধতায় নগরীর ভবন গুলোর নীচ তলায় পানি উঠলে ক্ষয়ক্ষতি হয়।
দ্বিতীয় দফায়ও (বুধবার) বিকালে বৃষ্টিপাতে নগরীর নিন্ম অঞ্চল তলিয়ে যায়। এতে অলিগলিতে কোমর থেকে হাটু পানি হয়ে যায়। জলাবদ্ধতার কারণে শহরের প্রধান সড়কে যানবাহন আটকা পড়ে। সৃষ্টি হয় যানজট। ফলে মানুষজনকে দুর্ভোগে পড়তে হয়। ঐদিন রাত আটটার আগমূহুর্ত পর্যন্ত বৃষ্টির পানি নামে নি। প্রথম দফায় মঙ্গলবার দুপুর ২ টার দিকে আকাশ মেঘে ঢেকে গেলে শুরু হয় বজ্রসহ বৃষ্টিপাত। প্রায় দুই ঘন্টার মাঝারি ধরণের বৃষ্টিপাতে নগরীতে জলাবদ্ধতায় হাবুডুবু খায় নগরবাসী।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে সমাজ হিতৈষী মুরাদপুর মহল্লা কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তসলিম খাঁ জানান, “নগরবাসীর দুর্ভোগ লেগেই আছে। কিন্তু জলাবদ্ধতার কষ্ট আর সহ্য হচ্ছে না। কোটি কোটি টাকা খরচ করে নালা নর্দমা পরিস্কার করার কোনো অর্থই হয়না। পরিকল্পিত পরিকল্পনা প্রয়োজন জলাবদ্ধতার হাত থেকে রেহাই পেতে হলে।” এত দ্রুত সড়কে বৃষ্টির পানি উঠে গেল, চৈত্র মাসের সামান্য বৃষ্টিতেও মানুষজনকে দুর্দশায় পড়তে হল, এখন থেকে সচেতনতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে বর্ষায় নগরবাসীর চরম দুর্দশা অপেক্ষা করছে।
নগরীর মুরাদপুর মোড়ের পূর্বে রাস্তার দক্ষিণ পাশে মানুষের দোকানপাট ভেঙে প্রযাপ্ত পরিমাণ জায়গা নেওয়া হয়েছে। সেখানে যে নালা সংস্কার করা হচ্ছে তা অন্তত ১৪ ফিট করে সংস্কার করে মুরাদপুর মোড় হয়ে ২ নং গেইটের বিশাল নালাটার সাথে সংযোগ করে দিলে বৃষ্টির পানি নালাই ধারণ করবে। নালার উপর ব্রিজ দিয়ে ফুটপাত ও সড়ক নির্মাণ করলে যানবাহন ও মানুষের যাতায়াতে সুবিধা হবে। মেহমান ক্লাবের পূর্বে নালাটি ইটের গাথুনি দিয়ে সংস্কার করার কিছু দিনের মধ্যেই তা ভেঙে পড়ে নালা ভর্তি হয়ে গেছে। এখন তা আবারো ইটের গাথুনি দিয়ে সংস্কার করা হচ্ছে। নালার পাশে ও উপরে নির্মাণ কাজ শক্ত ঢালাই দিয়ে করা দরকার। যাতে করে সেই ঢালাই’র উপর যানবাহনও চলাচল করতে পারে। ভাবতে হবে যে, ছোট্ট এ দেশটিতে জনসংখ্যার তুলনায় ভুমির পরিমাণ অপ্রতুল, মানুষের কর্মসংস্থানেরও অনেকটা অভাব রয়েছে। সেজন্য, নগরীর নালার উপর ব্রিজ নির্মাণ করে সেখানে ফুটপাত ও সড়ক করে দিয়ে নালার উপরের জায়গাটি মানুষের ব্যবহারের উপযোগি করে তুললে মানুষ উপকৃত হবে। নালায় পড়ার ঝুঁকি থেকেও মুক্তি মিলবে, এমনটি মনে করেন সচেতন মহল।