বাংলাদেশের দশম হোয়াইটওয়াশের হাতছানি!

0

১৯৮৬ সালের ৩১ মার্চ। ইমরান খান, জাভেদ মিয়াদাদ, রমিজ রাজা, ওয়াসিম আকরাম — পাকিস্তান দলে তখন এক ঝাঁক তারকা মেলা। সেবারের এশিয়া কাপে প্রতাপশালী পাকিস্তানের দলটার সামনেই সেবার ওয়ানডে অভিষেক হয়ে গেল নবীন একটা দলের। দলটার নাম বাংলাদেশ।

হারেই সূচনা হয়েছিল বাংলাদেশের। তবে, এর পর থেকে গত ২৯ বছরে দলটা আমূল বদলে গেছে। আর বুধবার অনন্য এক মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে আছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতলেই দশমবারের মত কোন দলকে হোয়াইটওয়াশ করবে বাংলাদেশ।

প্রথম হোয়াইটওয়াশটা এসেছিল আজ থেকে প্রায় আট বছরেরও বেশি সময় আগে। সেবার মার্চে চার ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে এসেছিল কেনিয়া। সিরিজের প্রতিটা ম্যাচই জিতে প্রথম কোন দলের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ পায় বাংলাদেশ।

সেই বছরই আবারও এই কেনিয়াকে তাদের মাটিতে গিয়েই তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে আসে বাংলাদেশ। ২০০৬ সালে টেস্ট দলের বিপক্ষেও প্রথম হোয়াইট ওয়াশ পায় বাংলাদেশ। এই জিম্বাবুয়েকেই নভেম্বর-ডিসেম্বরে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ধবলধোলাই করে হাবিবুল বাশার সুমনের দল।

এবার আবারও সেই জিম্বাবুয়েকে দিয়েই হোয়াইটওয়াশে দুই অংকে নাম লিখিয়ে ফেললো বাংলাদেশ। সবচেয়ে বেশি এই জিম্বাবুয়ে আর কেনিয়াকেই দুবার করে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের কাছে দু’বার করে হোয়াইট ওয়াশ হওয়া আরেকটি দেশ হলো নিউজিল্যান্ড। বলা হয়ে থাকে, ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন।

সর্বপ্রথম ২০১০ সালে ব্ল্যাক ক্যাপদের ৪-০ ব্যবধানে হোয়াইট ওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। দেশে মাটিতেই দেখা যায় স্বাগতিকদের সেই বিস্ময়কর পারফরম্যান্স। চার বছর বাদে আবারও সেই একই দৃশ্য। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে এসে হোয়াইট ওয়াশ হয়ে যায় নিউজিল্যান্ড।

এরপর এক বছরের একটা বিরতি!

বিরতির এই সময়টা বাংলাদেশের জন্য ছিল ভুলে যাওয়ার এক অধ্যায়। এক অর্থে, নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার পর থেকেই শুরু হয় বাংলাদেশের দুর্দশা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ, এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপ — সব গুলোতেই ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ।

এবার একটু দেরিতে হলেও ফিরে আসলো বাংলাদেশ। আর সেই ফেরাটাও হলো আরেকটা হোয়াইটওয়াশ দিয়ে! জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট-ওয়ানডে মিলিয়ে জিতলো টানা আটটা ম্যাচ।

পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা থাকলো বিশ্বকাপে; আর এখন সেটা দেখা যাচ্ছে দেশের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষেও। বুধবার জিতলেই ইতিহাস। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম কি পারবে ইতিহাসের সাক্ষী হতে?

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.