বাংলাদেশ হচ্ছে শতভাগ গণতান্ত্রিক দেশ- প্রধান বিচারপতি

0

বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : যুগাবতার শিবকল্পতরু শ্রীমৎ স্বামী অদ্বৈতানন্দ পুরী মহারাজের ১১৫ তম আবির্ভাব তিথি ও পুনঃ নির্মিত শ্রীগুরু মন্দিরের শুভ উদ্ভোধন শুক্রবার (১৯ মে) দুপুর ২ টায় বাঁশখালীর কালীপুরস্থ কোকদন্ডী ঋষিধামে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিন্হা বলেন, বাংলাদেশ হচ্ছে শতভাগ গণতান্ত্রিক দেশ। যেখানে নব্বই ভাগ মুসলিম সম্প্রদায় হয়েও আমাদের মত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোককে প্রধান বিচারপতির মত মহান দায়িত্ব প্রদান করেছেন।

তিনি বলেন, জাতির জনকের স্বপ্নের বাংলাদেশ আজ অনেকাংশে এগিয়ে গেছে। কিছু অতি উৎসাহী লোক ধর্মের নামে সাধারণ জনগণকে বিপথে পরিচালিত করে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। সে ব্যাপারে শুধু পুলিশ ও প্রশাসন নয় সকল জনগণকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে এবং প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। অনুষ্ঠানে পৌরহিত্য করেন ঋষিধামের মোহন্ত মহারাজ শ্রীমৎ স্বামী সুদর্শানানন্দ পুরী মহারাজ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিন্হা।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাঁশখালীর সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী। শ্রীগুরু সংঘের সভাপতি লায়ন প্রফুল্ল রঞ্জন সিংহের সভাপতিত্বে ও রাউজান পৌরসভার মেয়র দেবাশীষ পালিতের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ মোঃ হেলাল চৌধুরী, মহানগর দায়রা জজ মোঃ শাহেনুর, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মুন্সি মশিয়ার রহমান, চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট একিউএম নাছির উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ নজরুল ইসলাম, জজ মোঃ আবু হান্নান, চট্টগ্রাম জজ কোর্টের প্রশাসনিক কর্মকর্তা গোবিন্দ চন্দ্র দাশ, বাঁশখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোঃ চাহেল তস্তরী, থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলমগীর হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল গফুর, শ্রীগুরু সংঘের সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দেব, কালীপুর ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান এড. আনম শাহাদত আলম, বৈলছড়ি ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান কফিল উদ্দীন, বাঁশখালী পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি প্রদীপ গুহ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিন্হা আরো বলেন, বাংলাদেশে বর্তমান যে উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে তা এগিয়ে নেওয়ার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। এখন বাঁশখালীতে যে সম্প্রীতি পরিলক্ষিত হচ্ছে তাতে আমার কোন মতেই বিশ্বাস হচ্ছে না যে আজ থেকে কয় বছর আগে বাঁশখালীতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ১১ জনকে পুঁড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল। তিনি বলেন ধর্মের সাথে কোন দ্বন্ধ সকলের নিজ নিজ ধর্ম পালনের জন্য সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে।

প্রত্যেক ধর্ম শান্তির কথা বলে। যারা ধর্মের নামে অপব্যাখ্যা দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায় তাদের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। তিনি সকলের প্রতি সম্প্রতি বজায় রেখে নিজেদের আচার অনুষ্ঠান পরিচালনা করার আহবান জানান। আলোচনা সভা শেষে তিনি মন্দিরের উদ্ভোধন করেন এবং পরে বাঁশখালী আদালতের আইনজীবিদের দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.