বান্দরবানে পাহাড় ধসে নারী-শিশুসহ নিহত ৬

সিটিনিউজ ডেস্ক::গত তিন দিনের প্রবল বর্ষণের ফলে বান্দরবানে পাহাড় ধসে নারী ও শিশুসহ ৬ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় কমপক্ষে আরো পাঁচজন আহত হয়। মঙ্গলবার ভোরে সদর উপজেলা শহরের কালাঘাটা, লেমু ঝিরি ও আগাপাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন শহরের লেমুঝিরি এলাকার জেলেপাড়ার বাসিন্দা আবদুল আজিজের স্ত্রী কামরুন্নাহার বেগম (৩৯), তার মেয়ে সুখিয়া বেগম (৭), কালাঘাটা এলাকার রেবা ত্রিপুরা (২২), লেমু ঝিড়ি আগাপাড়া এলাকার তিন শিশু- শুভ বড়ুয়া (৮), মিতু বড়ুয়া (৫) ও লতা বড়ুয়া (৬)। খবর পেয়ে স্থানীয়দের নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, টানা বর্ষণের ফলে মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে শহরের বিভিন্ন স্থানে আচমকা পাহাড় ধস হয়। এতে লেমু ঝিড়ি জেলেপাড়া এলাকায় পাহাড়ে ধসে ঘরের ওপর পড়লে মা-মেয়ে মারা যান। আহত হন আবদুল আজিজ নামের এক ব্যক্তি। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা। একই সময়ে লেমু ঝিরির এলাকার আগাপাড়ায় পাহাড় ধসে লাল মোহন বড়ুয়া নামে এক ব্যক্তির ঘরের ওপর পড়লে তার তিন শিশু সন্তানের মৃত্যু হয়।

এছাড়া, কালাঘাটা এলাকার কবরস্থানের পাশে ঘরের ওপর মাটি চাপা পড়লে রেবা ত্রিপুরা নামে বান্দরবান সরকারি কলেজের এক ছাত্র মারা যায়। এসময় আহত হন আরো চার কলেজ ছাত্র। তারা হলেন, বীর বাহাদুর ত্রিপুরা, সূর্য চাকমা ও প্রশেন ত্রিপুরা। জানা যায়, আহতরা সবাই ওই এলাকায় একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন। নিহত রেবা ত্রিপুরা রাতে তাদের কাছে বেড়াতে যান।

বান্দরবান সদর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী স্টেশন কর্মকর্তা স্বপন কুমার ঘোষ জানান, খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার অভিযানে নামেন। তবে প্রবল বৃষ্টি ও ধসে পড়া মাটির গভীরতা বেশি হওয়ায় মা-মেয়ের লাশ এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। মাটি খুঁড়ে তাদের লাশ বের করার চেষ্টা চলছে।

পাহাড় ধসে শিশুসহ ছয়জন নিহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বান্দরবান জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক জানান, প্র্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে খোঁজ নেয়া হচ্ছে।