বাড়ছে যমুনার পানি, প্লাবিত হচ্ছে নতুন এলাকা

0

সিটিনিউজ ডেস্ক :: মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আরিচাঘাট পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ২৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ নিয়ে বুধবার সকালে এই পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি।

এর ফলে নদী তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমিসহ নতুন নতুন এলাকা।

রাস্তা-ঘাট ভেঙে ও ডুবে গিয়ে এসব এলাকার হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। অভাব দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির।

শিবালয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ রিডার (জিআর) মো. ফারুক হোসেন জানান, গত কয়েকদিন যমুনা নদীর এই পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।

মঙ্গলবার সকাল নয়টা পর্যন্ত পানি বিপদসীমার (৯.৪০ মিটার) এক সেন্টিমিটার নিচে ছিল। এর পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ২৩ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রতি তিন ঘণ্টা পর পর এই পয়েন্টে পানি স্তর পরিমাপ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নদী তীরবর্তী এলাকার জনপ্রতিনিধিরা জানায়, গত কয়েকদিন যমুনায় পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ইছামতি, কালিগঙ্গা, ধলেশ্বরীতেও পানি বাড়ছে।

এতে দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারী, বাঁচামারা, বাঘুটিয়া, জিয়নপুর ও খলসী ইউনিয়নের ইসলামপুর, বাসাইল, মুন্সিকান্দি, জোতকাশি, বেপারীপাড়া, ফকিরপাড়া, রাহাতপুর, চুয়াডাঙ্গা, হাজিপাড়া,

কাচারীপাড়া, উত্তরখন্ড, অহেল আলীর পাড়া, গোবিন্দপুর, নকেরআলী মাদবরপাড়া, বাঘপাড়া, মন্ডলপাড়া, বড়টিয়া, আমতলী, কাটাখালি ও বৈন্যা এলাকায় কম-বেশি ভাঙন দেখা দিয়েছে।

শাখা নদী তীরবর্তী শ্রীধরনগর, কুস্তা, ঘিওর, মাইলাগি, জাবরা, তরা, বেউথা, নয়াকান্দিসহ প্রভৃতি নতুন নতুন এলাকাও পড়েছে ভাঙনের মুখে। অনেক স্থানে বাঁধ ভেঙে নদী তীরবর্তী এলাকাসমূহে পানি ঢুকে পড়েছে।

নিম্নাঞ্চলের অনেক বাড়িঘর ইতোমধ্যেই ডুবে গেছে। ফসলের ক্ষেতও প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার দুর্গতদের জন্য সরকারিভাবে কোনো ত্রাণ সাহায্যে আসেনি বলেও জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আলিমুজ্জামান মিয়া জানান, পানিতে বোরো-আমন ধান, রোপার বীজতলা ও শাকসবজি’র জমি ডুবে গেছে।

ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা হচ্ছে। এক সপ্তাহের বেশি এসব ফসল পানিতে ডুবে থাকলে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ৩১১ নম্বর রুমে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।

নিয়ন্ত্রণ কক্ষের টেলিফোন নম্বর ০২৭৭১১৫৯০ এবং মোবাইল নম্বর ০১৭১৩৫০২৮১৫ ও ০১৮৪১৫০০০১৫।

জেলা প্রশাসক মো. নাজমুছ সাদাত সেলিম বন্যা সংক্রান্ত যে কোনো তথ্য উপরোক্ত টেলিফোন ও মোবাইল নম্বরে আদান প্রদান করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করেছেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.