বাড়ছে শুকনা মরিচের দাম
নিউজ ডেস্ক :: আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়তি থাকায় দেশীয় বাজারে শুকনা মরিচ সরবরাহে সংকট দেখা দিয়েছে।
এছাড়া অন্য সময়ের তুলনায় কোরবানি ঈদে পণ্যটির চাহিদা বেশি থাকে।
চাহিদা অনুযায়ী শুকনা মরিচের পর্যাপ্ত মজুদ নেই বলে ব্যবসায়ীদের দাবি।
ভোগ্যপণ্যের পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুকনা মরিচ আমদানি হয় বেশিরভাগ ভারত থেকে।
এক মাস আগে প্রতি কেজি ভারতীয় শুকনা মরিচ (ঝাল বেশি) বিক্রি হয়েছিল ১০৫ টাকা থেকে ১১০ টাকা। আর এখন সেটা ১২৫ টাকা থেকে ১৩৫ টাকা।
এক মাস সময়ের ব্যবধানে দাম বাড়ল ২০ টাকা।
আর ভারতীয় শুকনা মরিচ (ঝাল কম) বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা থেকে ১০৬ টাকা। এক মাস আগে বিক্রিয় হয়েছিল ৭৫ টাকা থেকে ৮০ টাকা দামে।
বর্তমানে বাজারে সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে বগুড়া অঞ্চলের শুকনা মরিচ।
মানভেদে এ অঞ্চলের প্রতি কেজি শুকনা মরিচ বিক্রি হয় ৭৫ টাকায়। চলতি মাসের শুরুতেও পণ্যটির দাম ছিল প্রতি কেজি ৬৮-৭০ টাকা।
এছাড়া এক মাস আগেও মানভেদে চট্টগ্রাম অঞ্চলের শুকনা মরিচ বিক্রি হয়েছিল ১৬৮ টাকা থেকে ১৭৩ টাকা। এখন সেটা ৭ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।
পঞ্চগড় অঞ্চলের শুকনা মরিচ বিক্রিয় হচ্ছে ৭০ টাকা থেকে ৭৪ টাকা। এটির দাম ৬ টাকা বাড়ে ৭৬ টাকা থেকে ৮০ টাকা।
এক মাস আগে কুমিল্লা অঞ্চলের (ঝাল বেশি) শুকনা মরিচ ১০০ টাকায় বিক্রিয় হলেও এখন ১০৫ টাকা থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কুমিল্লা এলাকার শুকনা মরিচ (ঝাল কম) বিক্রি হয়েছিল ৯২ টাকা থেকে ৯৬ টাকায়। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকা থেকে ১০৭ টাকা দরে।
মসলাজাতীয় পণ্যের আমদানিকারক অমর দাশ জানান, ২০১৬-১৭ বছরে দেশে শুকনা মরিচের সরবরাহ কম ছিল।
অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে পণ্যটি আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা।
ভারতের বাজারে শুকনা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে দেশের বাজার সেটার প্রভাব পড়েছে।
এছাড়া চলতি মাসের শুরু থেকে দেশে বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ায় বাজারে পণ্যটির সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
সব মিলে পাইকারি বাজারে শুকনা মরিচের দাম বাড়তির দিকে বলে জানালেন তিনি।