বিএনপির সব ইস্যু শেষ পর্যন্ত মাঠে মারা যায়: কাদের

0

সিটিনিউজ ডেস্ক:: সৌদি আরবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্মেলনে শেখ হাসিনার যোগদান নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে বক্তব্য দিয়েছেন এর কড়া সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বলেছেন, খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকলে, আর তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে সম্মেলনে যোগ দিলে ফখরুল সাহেব কী বলতেন? বিএনপি কোনো ইস্যু না পেয়ে এটাকে ইস্যু বানাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চলমান মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

গত রবিবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আরব-ইসলামিক-আমেরিকান সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিশ্বের প্রায় ৫৫টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান যোগ দেন। এই সম্মেলনেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে শেখ হাসিনার প্রথম সাক্ষাৎ হয়। শেখ হাসিনা ট্রাম্পকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাতে ইতিবাচক সাড়া দেন। তবে এই সম্মেলনে শেখ হাসিনার যোগদান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব। গতকাল এক অনুষ্ঠানে ফখরুলন বলেন, ‘আজকে দুর্ভাগ্য আমাদের এই ট্রাম্প আজকে প্রায় সভাপতিত্ব (সম্মেলনে) করছেন বলা যায় এবং সেখানে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত হয়েছেন।’

ফখরুলের বক্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দাওয়াত দিয়েছেন সৌদি আরবের বাদশাহ। সৌদি আরবের বাদশাহর দাওয়াতে প্রধানমন্ত্রী যাবেন না? যদি আজ বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকতেন, তাহলে কি মির্জা ফখরুল এ কথা বলতেন? অবশ্যই বলতেন না। রাজনীতির জন্য তারা কেন রাজনীতি করেন?’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সৌদি আরবে এমন একটা অনুষ্ঠান যেখানে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট এসেছেন। মুসলিম ৫০টি দেশ এসেছে। এটা নিয়ে বিতর্ক তোলার তো কোনো কারণ নেই। আর তারা যদি প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় থাকত এবং বেগম জিয়া যদি অনুষ্ঠানে যেতেন তাহলে এ নিয়ে তো তাঁরা উল্লসিত উচ্ছ্বসিত হতেন। এখন কেন হতাশা।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কোনো ইস্যু না পেয়ে বেপরোয়া বিএনপি এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌদি আরব সফরের সমালোচনা শুরু করেছে। তারা একটার পর একটা ইস্যু খোঁজে।’

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘তাদের সব ইস্যু শেষ পর্যন্ত মাঠে মারা যায়। বেপরোয়া গাড়ি, বেপরোয়া ড্রাইভারের মতো বেপরোয়া বিএনপি। কখন যে কোন দুর্ঘটনা ঘটবে, সেটি নিয়ে আমরা শঙ্কা প্রকাশ করছি।’

কাদের বলেন, ‘যে কার্যালয়ে বসে বিএনপি গণতন্ত্র হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছিল, সেই কার্যালয়ে বসেই বিএনপি নেতারা এখন গণতন্ত্র রক্ষার কথা বলছেন। যে অফিসে গণতন্ত্র হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছে, সেই অফিসকে বলছে গণতন্ত্রের প্রতীক। সবাই যানে সেখান থেকে ১৬৫ জন মানুষকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে।’

ঢাকার প্রবেশ পথগুলোর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হবে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ঢাকার সব প্রবেশপথগুলো আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে আমরা বিউটিফিকেশন করব। ঢাকা-সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত ওই রাস্তা, তারপর এদিকে দাউদকান্দি পর্যন্ত। এই কাজটা তো অনেক দূর এগিয়ে গেছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য এন্ট্রি পয়েন্টে বিউটিফিকেশন করা হবে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.