নিজস্ব প্রতিবেদক::বিজয়মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা সকল প্রতিকূলতা অতিক্রমের শক্তি ও সাহস নিয়ে প্রজন্ম পরম্পরায় মুক্তিযুদ্ধের অবিনাশী চেতনাকে ধারণ করে আসছে। বাঙালি জাতিসত্তার অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলন-সংগ্রাম-লড়াইয়ে বিজয় মেলা বাঙালির হৃদয়ে নব জাগৃতির উপলক্ষ হয়ে আছে। তাই বিজয় মেলা বাঙালির জীবন ধারার প্রাত্যহিকতার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।
তিনি আজ বিকেলে তাঁর চশমা হিলস্থ বাসভবনে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার কর্মপরিষদের সভায় সভাপতির ভাষণে এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, প্রতি বছরের মত এবার ২৯তম বিজয় মেলা অউটার স্টেডিয়াম ও এম.এ আজিজ স্টেডিয়ামস্থ জিমনেসিয়াম চত্বরে ১ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাসব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে। এবারের আয়োজনের মূল লক্ষ্য মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলাকে জনকল্যাণ মুখী করে সাধারণ মানুষকে সেবা প্রদানে নিবিড় ভাবে সম্পৃক্ত করা।
এই লক্ষে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ দুর্গত এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদ মানবিক সেবা প্রদান করে যাবে। দুর্গত এলাকায় গৃহকরসহ বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস বিল মওকুফ করার আবেদন জানান। এ সভায় জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুর ৪২তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালনের কর্মসূচি গৃহিত হয় এবং মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা আয়োজনের জন্য আউটার স্টেডিয়াম মাঠ ও এম.এ আজিজ স্টেডিয়াম চত্বর বরাদ্দ দেয়ায় চট্টগ্রাম সেনা নিবাস এরিয়া সদর দপ্তরকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন-মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী ও মোহাম্মদ ইউনুছ, আলহাজ্ব ফিরোজ আহমদ, পান্টু লাল সাহা, দেবাশীষ গুহ বুলবুল, মশিউর রহমান চৌধুরী, শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, অমল মিত্র, মোঃ শহিদুল আলম, মোজাফফর আহমদ, এম.এ মনসুর, আবুল মনসুর, ফরিদ মাহমুদ, হাজী সাহাবুদ্দিন আহমদ, আলহাজ্ব সাজেদুল আলম মিল্টন, আনিস মিয়া, মোঃ আবু তাহের, এস.এম সাঈয়েদ সুমন, নুরুল আনোয়ার, তপন বড়–য়া প্রমুখ।