বৈলগাঁও চা-বাগানের ক্লোন চা দেশের শীর্ষ স্থান ধরতে তৎপর

0

কল্যাণ বড়ুয়া মুক্তা, বাঁশখালী::বাঁশখালীর পুকুরিয়ায় অবস্থিত চাঁনপুর বৈলগাঁও চা-বাগান সবুজের সমারোহে ভরে গেছে।বর্তমানে বৃষ্টি হওয়ায় নতুন পাতা গজিয়ে উঠায় চা-বাগানের কচি পাতার দৃশ্য সবার মন কাড়ছে। বাঁশখালীতে অবস্থিত প্রায় ৪ হাজার একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত এই চা-বাগানটি বর্তমানে সিটি গ্রফ এর তত্বাবধানে রয়েছে ।। বর্তমানে প্রতিদিন ৭শতাধিক শ্রমিক এই চা বাগানে তাদের শ্রমের মাধ্যমে নতুন পাতা উৎপাদন ট্রেসিং থেকে শুরু করে চা-বাগানের সামগ্রিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বাঁশখালীর চা সারা দেশে মানের দিক দিয়ে ২য় স্থানে অবস্থান করলেও চট্টগ্রামে প্রথম স্থানে রয়েছে বলে চা-বাগান কর্তৃপক্ষ জানান।

প্রায় সাড়ে তিনলক্ষ হাজার কেজি চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে চা বাগান তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তাছাড়া ১০লঙ্কাধিক চারা ও লাগানো হচেছ চলতি বছরে । প্রতি বছর জানুয়ারী ফেব্র“য়ারী মাসে চা-পাতা তোলা না হলেও অপরাপর সময়ে চা-শ্রমিকরা তাদের কর্মঘন্টা অনুসারে চাপাতা তুলে থাকেন । চা বাগানের অভ্যন্তরে ৭ শতাধিক কর্মচারী নাগরিক সুযোগ-সুবিধা, স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা সহ অন্যান্য সার্বিক সুযোগ সুবিধা রয়েছে বলে জানা যায়।

বাঁশখালীর চা-বাগানকে আধুনিক পর্যটন স্পটে পরিণত হয়েছে। বিশাল চা-বাগান জুড়ে প্রতিদিন বিভিন্ন দেশ-বিদেশ থেকে নানা শ্রেণির মানুষ এখানে এক নজরে দেখার জন্য ছুটে আসে। সরকার চা উৎপাদনের বিক্রিকৃত অর্থ থেকে ১৫% হারে ভ্যাট পান বলে জানান, চা বাগানের ম্যানেজার আবুল বাশার। তিনি আরো জানান, বাঁশখালীর এই বিশাল চা বাগানের চা পাতা সারা দেশে সুখ্যাতি রয়েছে। যার ফলে দেশের যত সব চা বাগান রয়েছে বাঁশখালীর চা বাগানের পাতা মানের দিক দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এবং চট্টগ্রামে প্রথম স্থানে রয়েছে। এই মানের জন্য চা বাগানের কর্মরতরা প্রতিদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের উৎপাদন যত বৃদ্ধি পায় সরকার রাজস্ব তত বেশি পায়। তিনি এই বছরের লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে তিন লাখ কেজি বলে এই প্রতিনিধিকে জানান। তিনি আরো বলেন, চা বাগানের চার পাশে ঘেরা বেড়া না থাকায় প্রতিদিন হাতির পাল চা বাগানে ছুটে আসে। ফলে শ্রমিক-কর্মচারীরা প্রায় সময় শংকিত অবস্থায় থাকে। চা-বাগান সম্পর্কে জানতে চাইলে পুকুরিয়া ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা বলেন, বাঁশখালীতে অবস্থিত বিশাল আকৃতির এই চা-বাগানটি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পাশাপাশি একটি পর্যটন স্পটে পরিণত হয়েছে। চা-বাগানটি থাকায় পুকুরিয়া প্রতিদিন দেশ বিদেশ থেকে বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষ এসে ঘুরে যায় চা-বাগানের নানাবিদ কার্যক্রম দেখে। চা-বাগানের ব্যবস্থাপক আরো জানান চাবাগানে বর্তমানে যেসব কর্মচারী রয়েছে তাদের বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়া প্রয়োজন রয়েছে।

কারণ বিগত দিনে এই বাগানের একজন কর্মচারী নিহত হওয়ার পর শ্রমিকেরা সব সময় আতংকে থাকে। চা বাগান দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্ব পূর্ণ অবস্থান রাখলেও এটা অঘোষিত পর্যটন স্পটেও পরিণত হয়েছে দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসীর জন্য। কারণ প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক এখানে আসে চা বাগানের কার্যক্রম দেখতে। বর্তমানে বৃষ্ঠি হওয়ায় চা বাগানের জন্য প্রচুর উপকার সাধন হচেছ বলে জানান তারা ।তাছাড়া চা বাগানে য়াতায়াতের রাস্তাটি সংস্কার করা প্রয়োজন বলে স্তানীরা জানান ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.