বোয়ালখালীতে পুলিশের বিরুদ্ধে চার নারীকে পেটানোর অভিযোগ

0

বোয়ালখালী প্রতিনিধি :বোয়ালখালীতে পুলিশের বিরুদ্ধে বৃদ্ধাসহ চার নারীকে পিঠিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে পুলিশি নির্যাতনের শিকার পরিবারটি এ অভিযোগ আনেন।

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারী) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার চরণদ্বীপ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের উজির আলী বাপের বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশি মারধরে আহতরা হলেন, মৃত আবদুল হালিমের স্ত্রী মায়াজান (৬৫), তার বিধবা মেয়ে জয়নাব বিবি (৩৪), বিবাহিত মেয়ে জেসমিন (৩৪) ও নাতিন মৃত আবুল কাশেমের মেয়ে জোলেখা আকতার (১৩)।
বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সালাহ উদ্দিন চৌধুরী জানান,চরণদ্বীপের এক হুজুরের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সরজমিনে তদন্তে গিয়েছিল থানার উপ-পরিদর্শক মো. আরিফুল ইসলাম।স্থানীয়রা জানায়, মৃত আবদুল হালিমের স্ত্রী, বিধবা মেয়ে জয়নাব বিবি ও নাতনি ছাড়া আর কেউ থাকে না। আবদুল হালিমের দুই ছেলে প্রবাসে রয়েছে। পুলিশি হামলার ঘটনার পর অন্যত্র পালিয়ে গেছে মৃত আবদুল হালিমের পরিবার পরিজন।
চারদিন আগে বাপের বাড়িতে বেড়াতে আসা জেসমিন জানায়, আমার মায়ের খরিদা সম্পত্তিতে ঘেরাবেড়া দেয়ার সময় মঙ্গলবার বিকেলে একটি টেক্সী করে দুইজন পুলিশে পোশাকে ও একজন সাধারণ পোশাকে আসে এবং তারা জায়গাটিতে কাজ বন্ধ রাখতে বলে। তাদের কথা মত কাজের লোকটি চলে যায়।এসময় তাদের জায়গার কাগজপত্র দেখাতে চাইলে তারা এসব দেখবে না বলে গালি অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এরপর তারা টেক্সীতে করে চলে যাওয়ার সময় আমার মা মায়াজানকে এলোপাতাড়ি চড় থাপ্পর ও কিল ঘুষি মারতে মারতে রাস্তায় ফেলে দেয় থানার উপ-পরিদর্শক মো. আরিফুল ইসলাম। এতে বাধা দিতে গেলে পুলিশের অন্যান্য সদস্যরাসহ আরিফ লোহা ও কাঠ দিয়ে আমার বোন জয়নাব বিবিকে মারধর শুরু করে। মারের যন্ত্রণায় আমার বোন ঘরের মধ্যে দৌড় দিলে তারা ঘরে ঢুকে বোন ঝি ও আমাকে চড় থাপ্পর ও লাঠি মারধর কওে বলে জানায় জেসমিন। তাদের বেধড়কমারের ফলে আমার তিন বছরের শিশু কোল থেকে পড়ে আহত হয়। এ ঘটনায় থানায় যেতেও ভয় পাচ্ছেন জানিয়ে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র অবস্থান নিয়েছেন জানিয়ে বৃদ্ধা মায়াজান বলেন, পুলিশি এ ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছি।

সন্ধ্যায়ও পুলিশ বাড়িতে গিয়েছে বলে প্রতিবেশীরা জানিয়ে বলে জানান তিনি।বিরোধীয় জায়গাটি নিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বোয়ালখালী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা তদন্তে গিয়েছিলাম, কাউকে মারধর করিনি। জায়গা নিয়ে উভয়পক্ষ মারামারি করেছে।পুলিশি মারধরে বৃদ্ধা মায়াজানের ডানহাতের আঙ্গুল ভেঙ্গে গেছে জানিয়ে চরণদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী শামশুল আলম বলেন, বাপমরা ১৩বছরের শিশুটিও পুলিশের হাত থেকে রেহায় পায়নি। জায়গা নিয়ে বিরোধ থাকতে পারে তাই বলে পুলিশ এ ধরণে ঘটনা ঘটাতে পারে না। তিনিও এর বিচার দাবি করেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.