ব্যাপটিষ্ট চার্চের নিরাপত্তার শংকা

0

সুজিত দত্ত, পটিয়া প্রতিনিধি::ঘুর্নিঝড় মোরা ও সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপে চট্টগ্রামের পটিয়া ব্যাপটিষ্ট চার্চের সীমানা প্রাচীর ভেংগে মাটিতে লুটিয়ে পড়ায় নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধানতম এ প্রতিষ্ঠানটি। তারা এ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাসহ সংস্কারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

জানা যায়, পটিয়া পৌর সদরের শ্রীমতি ব্রীজের পার্শ্বে পটিয়া ব্যাপটিষ্ট চার্চের অবস্থান। যুগ যুগ ধরে এ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের পরষ্পর ঐক্য ও ভাতৃত্বের বন্ধন রচনায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু সম্প্রতি দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোরা ও ঘুর্নিঝড়ের কারণে সৃষ্ট বন্যার পানিতে এ প্রতিষ্ঠানটির ভিতরে পানি প্রবেশ করে এটি লন্ড ভন্ড হয়ে যায়। এমনকি এর উত্তর-পশ্চিমাংশের সীমানা প্রাচীর ভেংগে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। বর্তমানে এ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানটি অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। ফলে যে কোন মুহুর্তে চুরি, ডাকাতি সহ অনাকাঙ্খিত ঘটনার আশংকায় দিনাতিপাত করছেন এর পালক সহ সংশ্লিষ্টরা। তারা এটি সংস্কার সহ চার্চের নিরাপত্তা বিধানে আইনী সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

গোপাল নামের এ প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি জানান, ঘুর্নিঝড় মোরার কারণে প্রথম দিকে এর অবকাঠামো নড়বড়ে হয়। কিন্তু গত ১ সপ্তাহে লাগাতর বৃষ্টি ও শ্রীমতি খালের পানিতে সৃষ্ট স্থায়ী বন্যার পানি ঢুকে প্রায় ৩০ বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে ফাটল ও সীমানা প্রাচীর ভেংগে খানখান হয়ে যায়। আমরা বর্তমনে চরম নিরাপত্তহীনতায় ভুগছি।

পটিয়া ব্যাপটিষ্ট চার্চের পালক প্রদীপ গোমেজ বলেন, এ প্রতিষ্ঠানটির বয়স প্রায় ৩ যুগ পার হয়েছে। কখনো এমন ক্ষতির মুখে পড়েনি এর অবকাঠামো। বর্তমানে যে ভাবে বন্যার পানিতে সব ভেংগে পড়লো এতে আমাদের নিরাপত্তা চরমভাবে বিঘ্নিত হয়েছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানে চুরি, ডাকাতির আশংকা রয়েছে। আমি অবিলম্বে এটি সংস্কারে পটিয়ার সাংসদ  সামশুল হক চৌধুরী ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ নেয়ামত উল্লাহ বলেন, এ প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা বিধানে সব ধরণের সহায়তা দেওয়া হবে। পুলিশ সার্বক্ষণিক টহল জোরদার করবে। তিনি যে কোন শংকায় পুলিশের সাহায্য নেওয়ার জন্য পটিয়া ব্যাপটিষ্ট চার্চের প্রতি আহবান জানান।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.