নিজস্ব প্রতিনিধি::চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ৬নং এওচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বিরুদ্ধে মায়ানমারের এক নাগরিককে জাতীয়তা সনদ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। জাতীয়তা সনদ পাওয়া মায়ানমারের নাগরিক আবদুল করিমকে এলাকাবাসী ও ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আব্দুল ওয়াহেদের সহযোগীতায় এবং অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১১ মার্চ থানা পুলিশ আটক করে আদালতে সোপর্দ করলে আদালক তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। তার বিরুদ্ধে ১৯৪৬ সনের বৈদেশিক আইনে ১৩/১৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।
মায়ানমারের নাগরিকরা এদেশের কিছু জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় চেয়াম্যান সনদ, নাগরিকত্ব সনদ সহ পাসপোর্ট পেয়ে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে চাকরী ও সৌদি আরবে ওমরা ভিসা নিয়ে যান। সেখানে যাওয়ার পর বাংলাদেশী পাসপোর্টধারী মায়ানমারের এসব নাগরিকরা বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ে দেশের সুনাম নষ্ট করে চলেছে। এমন কি মায়ানমারের এসব নাগরিকরা পুলিশের অস্ত্র লুট, মাদক ব্যবসা, মানব পাচার থেকে শুরু করে খুন খারাবির সাথেও জড়িত রয়েছে এমন তথ্য আঞ্চলিক ও জাতীয় পত্রিকা ও বেসরকারী টেলিভিশনে প্রচার হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত কোন না কোন অপরাধের খবর প্রকাশিত হচ্ছে। মায়নমারের বহু লোক টেকনাফ, কক্সবাজার ছাড়িয়ে দক্ষিণ ও উত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় কৃষি ও মাটি কাটার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। এমনকি নগরীতেও অনেকে রিক্সা ও বিভিন্ন কাজে জড়িত রয়েছে। মায়ানমারের এসব নাগরিকরা ধীরে ধীরে সুযোগ বুঝে অর্থের মাধ্যমে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব হয়ে যাচ্ছে। যেটি খুবই ভয়ানক বিষয়। এমন ঘটনা এখনই রোধ করা দরকার। নয়তো বিপর্যয় অনিবার্য বলে অনেকের ধারণা।
এব্যাপারে জনপ্রতিনিধি, আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ, পুলিশ প্রশাসন সহ গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারী বাড়ানো একান্ত জরুরী বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন।
০১৮১৩৯০৮৪২৭ নাম্বারে ফোন করে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাহমুদুল হক চৌধুরী বলেন, আমি ওমরা পালন করতে সৌদি আরব যাবার আগে জনগণের সুবিধার্থে বেশ কিছু সনদে স্বাক্ষর করেছিলাম। সনদ পাওয়া লোকটিকে আমি কখনো দেখিনি। এটি আমার অবর্তমানে হয়েছে। আমার প্রতিদ্বন্দ্বিরা এ সুযোগটি কাজে লাগিয়ে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আমাকে ঘায়েল এবং নাজেহাল করার একটি ক’ট কৌশল হাতে নিয়েছে মাত্র। তিনি বলেন, আমার জনপ্রিয়তায় ঈশ্বান্বিত হয়ে নোংরামিতে লিপ্ত হয়েছে। আমার প্রতিদ্বন্দ্বিরা কোন সময় আওয়ামীলীগ রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল না। হঠাৎ করে রাতারাতি তারা আওয়ামীলীগ সেজেগেছে।