মা-মেয়েকে নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেফতার ৪ : রিমান্ডে ৩
সিটিনিউজ ডেস্ক : বগুড়ায় মা-মেয়েকে নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে ৪ জন।
বগুড়া কলেজছাত্রী ও তার মাকে মারধরের পর মাথার চুল কেটে দেয়ার ঘটনায় চারজন গ্রেফতার হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে মূল অভিযুক্ত মহিলা কাউন্সিলর।
গ্রেফতারকৃত চারজনের মধ্যে কাউন্সিলরের ভগ্নিপতি তুফান মেয়েটিকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।
রবিবার বিকেলে বগুড়া সদর থানার ওসি এমদাদ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে বেলা সাড়ে ১০টার দিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর (অপারেশন) আবুল কালাম আজাদ আদালতে আসামিদের হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন জানান।
আসামিরা হলেন- বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক (বহিষ্কৃত) তুফান সরকার, সহযোগী আলী আজম দিপু ও রুপম হোসেন। আদালতের বিচারক শ্যাম সুন্দর শুনানি গ্রহণ শেষে তিনদিনের রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দেন।
এই ঘটনায় এপর্যন্ত গ্রেফতারকৃত মোট চারজনের মধ্যে আসামি আতিকুর রহমান ইতোমধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেয়। তাই তাকে বাদ দিয়ে বাকি তিনজনকে রিমান্ডে নিল পুলিশ।
পুলিশ জানায়, শনিবার আসামিদের আদালতে তোলা হলে, কাউন্সিলরের ভগ্নিপতি তুফান মেয়েটিকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। পাশাপাশি মা-মেয়ের চুল ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয় অপর তিন আসামি।
এরআগে নির্যাতিতার মা বগুড়া শহরের চকসূত্রাপুর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মারজিয়া হাসান রুমকিসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
শুক্রবার সকালে কাউন্সিলর রুমকি তার ভগ্নিপতি তুফানের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ তোলে নির্যাতিতার বিরুদ্ধে। পরে মীমাংসার নামে শালিসি বৈঠক ডেকে নির্যাতিতা ও তার মাকে পিটিয়ে আহত করে এবং চুল কেটে দেয়।