মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের নির্বাচনে সুযোগ না দেয়ার পরামর্শ তরিকত ফেডারেশনের
সিটিনিউজ ডেস্ক:: স্বাধীনতাবিরোধী ব্যক্তি ও দল যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করতে পারে সে জন্য নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন।
বুধবার সকালে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে এ পরামর্শ দেয় দলটি। সংলাপে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।
তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর নেতৃতে ১৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল ইসির সঙ্গে সংলাপে অংশগ্রহণ করে। বেলা ১১টায় শুরু হওয়া এ সংলাপ দুই ঘণ্টা চলে।
সংলাপ শেষে দলটির চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ব্যক্তি ও দল যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করতে পারে সে ব্যবস্থা নেয়াসহ ১২টি প্রস্তাব দিয়েছি ইসিকে।
তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী চেয়েছি। সংবিধান অনুযায়ী সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দল নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করে এর অধীনে নির্বাচন করার কথা বলেছি।
তরিকত ফেডারেশনের উল্লেখযোগ্য প্রস্তাবগুলো হলো- নির্বাচনের সময় কোনো অপশক্তি জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নির্বাচনী পরিবেশ যেন বিঘ্নিত করতে না পারে। জনগণের মালামাল ও নিরাপত্তা গ্রহণের জন্য ইসির তত্ত্বাবধানে স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে বিশেষ মনিটরিং সেল গঠন করা। নির্বাচনী ব্যয় ২৫ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৫০ লাখ করা। ভোট গ্রহণে ইভিএম পদ্ধতি চালু করা। রোহিঙ্গারা যাতে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হতে পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। নির্বাচনে কালোটাকা ও পেশিশক্তির ব্যবহার রোধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা। সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক মতাদর্শিক দল নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা। তফসিল ঘোষণার ৬০ দিন আগে ভোটার তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা।
বিকালে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সঙ্গে ইসির সংলাপসূচি থাকলেও দলটি বিশেষ কারণে আসতে পারবে না জানিয়ে ইসির কাছে নতুন সময় চেয়েছে।