সিটিনিউজ ডেস্ক::সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে মূর্তি সরিয়ে ইসলাম ধর্মসহ সব ধর্মকে সম্মান করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
শনিবার রাজধানীর সিরডাপে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে আয়োজতি এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘এই মূর্তিটা আসলে থেমিসের আসল রুপ না। সে ক্ষেত্রে এটা কোনো মূর্তিই ছিল না বলে আমার মনে হয়। এই মূর্তিটা সরিয়ে বরঞ্চ ইসলাম ধর্মসহ অন্যান্য ধর্মকে সম্মান করা হয়েছে।’
এটি সরিয়ে ফেলায় আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে কি না, কিংবা মৌলবাদীদের উত্থান হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে আসল থেমিসকে বিকৃত করা হয়েছে। বিকৃত থেকে সরে আসতে চাই। বিকৃতির সব সময় নিন্দা করি। এতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়নি।’
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ভবিষ্যতে আসল থেমিসের ভাস্কর্য স্থাপন করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যারা সুপ্রিম কোর্টের মালিক তারা বলতে পারবেন।’
গত ডিসেম্বরে সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে ন্যায়বিচারের প্রতীক গ্রিক দেবী থেমিসের মূর্তির আদলে স্থাপন করা হয়েছিল একটি ভাস্কর্য। এটি স্থাপনের পর থেকেই তা অপসারণের দাবিতে হেফাজতে ইসলামীসহ বেশ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সংগঠন আন্দোলনে নামে।
গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ভাস্কর্যটি থেকে অপসারণ হয়। ভাস্কর্য সরানোর কয়েক ঘণ্টা পর রাজধানীতে একটি শোকরানা মিছিল বের করে ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম। মিছিল শেষে দেশে স্থাপিত সব ভাস্কর্যকে ‘মুর্তি’আখ্যা দিয়ে সেগুলোতে অপসারণের দাবি জানায় ধর্মভিত্তিক সংগঠনটির নেতারা।
গত ১০ এপ্রিল গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কওমি মাদ্রাসার আলেম-ওলামাদের বৈঠকেও ভাস্কর্য সরানোর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সেদিন প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন না এই ভাস্কর্য সেখানে থাকা উচিত। পরবর্তীতে বিচারপতিদের বাসভবন উদ্বোধন উপলক্ষে কাকরাইল গিয়ে বিষয়টি নিয়ে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কথা বলেন তিনি।