মৎস্যজীবীদের ভাগ্য নিয়ে স্বার্থান্বেষী মহল চিনিমিনি খেলছে: মহিউদ্দিন

0

নিজস্ব প্রতিবেদক::চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এ.বি.এম. মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন,উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ অমান্য করে কর্ণফুলী নদী তীরবর্তী বাকলিয়া থানাধীন রাজাখালিতে আজিজ উল্লাহ ওয়াকফ এস্টেটের নিজস্ব সম্পত্তির উপর মোটা অংকের বিনিময়ে দোকান বরাদ্দ দিয়ে স্বার্থান্বেষী মহল আইন ও সুশাসনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছেন। এরা প্রকৃত মৎস্যজীবীদের ভাগ্য নিয়ে চিনিমিনি খেলছে এবং মৎস্য শিল্পকে জিম্মি করে ফেলেছে।আমি এদেরকে চিনি এবং তাদের অতীত ও বর্তমান আমাদের জানা আছে।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রাম সোনালী যান্ত্রিক সমবায় সমিতি লি এর উদ্যোগে সমাবেশ ও আনন্দ মেলায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি অভিযোগ করেন, সরকারী আদেশ অমান্য করে একটি চক্র জাটকা নিধন করছে এবং এসব আড়তে মজুদ করছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি আরো বলেন, আগামী ১০ এপ্রিল ঐতিহাসিক লালদিঘীর মাঠে পুরাতন পাইকারী মৎস্য বিপনন কেন্দ্রে আহুত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ১৬ মার্চ ভোরে আগের মতই এখানে মাছের পাইকারী বাজার বসেছে। এ ব্যাপারে পুলিশ ও প্রশাসনের সর্বাত্মক সহযোগিতা চাই এবং বাজারে মাছ আনা-নেয়ার সময় পরিবহনগুলোকে পুলিশী স্কট প্রদান করা হবে। তিনি হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, আজিজ উল্লাহ ওয়াকফ এস্টেটের নিজস্ব সম্পত্তি আড়ত-দোকান করতে যাদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। তা পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের ফেরত দিবে বলেছে দুই কোটি টাকা জনসম্মুখে এবং কোতোয়ালী থানার ওসি জসিম উদ্দিন এবং ফিশারী ঘাট আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সামনে দিতে হবে। তা না হলে লুটেরা ও দুষ্টচক্রের তিন হোতা আমিনুল হক বাবুল সরকার, মোহাম্মদ আলী ও মোহাম্মদ নুর হোসেনের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা করা হবে।

তিনি উল্লেখ করেন ২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনবান্ধব সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য হঠাৎ করে পরিবহন ধর্মঘট ডেকে নাশকতা ও জনদুর্ভোগ বাড়িয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে আমরা মাছে-ভাতে বাঙালি। সাধারণ মানুষের প্রোটিন যোগায় মৎস্যজীবীরা। তাদেরকে শোষণের যাঁতাকলে পিষ্ঠ করে বাঙালিকে প্রোটিন শূন্য করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, আইনী লড়াইয়ে উচ্চ আদালত সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আজিজ উল্লাহ ওয়াকফ এস্টেটের অনুকূলে স্থগিতাদেশ প্রদান করে উচ্চ আদালতে বিবাদীর পক্ষের আবেদনের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ খারিজ করে। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টের সুপ্রিম কোর্ট ডিভিশনে রীট পিটিশন করা হলে স্থগিতাদেশ বহাল রাখা হয়। সমাবেশ ও আনন্দ মেলায় সভাপতিত্ব করেন মো: শামসুল আলম। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিসেস হাসিনা মহিউদ্দিন, বক্তব্য রাখেন মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মমতাজ খান, জাবেদ নজরুল ইসলাম, মো: সালাউদ্দিন, মো: আবু নাসের বাপ্পী, মো: দিদার আলম, মো: জামাল, মো: রিমন চৌধুরী, জ্ঞান কান্তি, রফিক মাহমুদ, জাহাঙ্গীর আলম, শাকিল আহমদ, মো: জয়নাল আবেদীন, মো: সেলিম, মো: শাহ আলম, হেলাল আকবর বাবর, মো: জানে আলম, মো: আবু বক্কর সিদ্দিক দিদার, মুহাম্মদ শাহজাহান, হাজী সিদ্দিক আহাম্মদ সওদাগর প্রমুখ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.