রাউজানের সড়ক অবৈধ সিএনজি অটোরিক্সার দখলে

0

এম রমজান আলী, রাউজান (চট্টগ্রাম)::চট্টগ্রামের কাপ্তাই সড়ক ও গ্রামাণ সড়ক গুলোতে এখন বৈধ অবৈধ সিএনজি অটোরিক্সার দখলে। কাপ্তাই ও রাঙ্গামাটি সড়ক পথসহ রাস্তাঘাটে চলাচলকারী সিএনজি’র বড় একটি অংশ চলছে অবৈধ টেক্স টোকেনে। যারা এসব সিএনজি চালাচ্ছে তাদের বেশির ভাগের লাইসেন্স নেই। এই সুযোগ হাতে পেয়ে কাপ্তাই ও রাঙ্গামাটি সড়কে চলাচলকারী সিএনজি থেকে নোয়াপাড়া ট্রাফিক পুলিশ প্রতিমাসে লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে ।

এসব রেজিষ্ট্রেশন বিহীন অবৈধ সিএনজি অটোরিক্সার মালিকরা অদক্ষ চালকদের হাতে গাড়ী দেওয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।এলাকার লোকজন বলেছেন বিভিন্ন পরিবহনের হেলপার, রিক্সা,ঠেলাগাড়ীর শ্রমিক নদীতে সাম্পান চালানোর মাঝিরা এখন সিএনজি’র চালকের আসনে বসেছে। এক সপ্তাহের গাড়ী চালানোর ট্রেনিং শেষে যাত্রী নিয়ে নেমে পড়ছে অদক্ষ এসব চালক ব্যস্ততম কাপ্তাই ও রাঙ্গামাটি সড়ক ও মহাসড়ক পথে।

একারণে প্রতিদিন ঘটছে দুঘর্টনা। দুঘর্টনায় পড়ে হতাহত হচ্ছে নিরহ যাত্রী সাধারণ। সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের আমদানী নীতিমালার অধীনে দেশে আনা হচ্ছে প্রতিনিয়ত শত শত আটোরিক্সা (সিএনজি)। আইন অনুসারে দেশে আমদানী করা এসব গাড়ী রাস্তায় নামাতে হলে দরকার বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোট অথরটি (বিআরটিএ) এর রেজিষ্ট্রেশনসহ রোড পারমিট। আমদানীকারকগণ গত কয়েক বছর থেকে নিজেদের শো-রুম থেকে প্রতিদিন নতুন গাড়ী বিক্রি করছেন। যারা এসব গাড়ী কিনে নিচ্ছেন তারা গাড়ীর আগে পিছে অনটেষ্ট লিখে যাত্রী পরিবহনের জন্য রাস্তায় নামাচ্ছে। এক্ষেত্রে গাড়ী মালিকরা নিতে হচ্ছে পুলিশের কাছ থেকে টোকেন।

সূত্র মতে, বর্তমানে শহর বন্দর আর গ্রামের রাস্তাঘাট দখলে নেয়া এসব আমদানী করা সিএনজি কোথায় কিভাবে চলবে সেই বিবেচনা যেমন আমদানীকারকদের নেই, তেমনি এই নিয়ে মাথা ব্যথা নেই বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের। এই অবস্থার মধ্যে ক্রেতারা নতুন গাড়ীর সামনে পিছনে অনটেষ্ট সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে গাড়ী চালানো কৌশল নিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সরকারি বেসরকারী দুটি প্রতিষ্ঠানের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সাথে এই নিয়ে কথা বলে চট্টগ্রামের মফস্বলের সড়ক গুলোতে বৈধ অবৈধ কত সংখ্যক সিএনজির চলাচল করছে সেই পরিসংখ্যান কারো কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।

বিষয়টি নিয়ে কথা বললে বিআরটিএ এর সহকারী পরিচালক মাহবুব কবির বলেন তার দপ্তরের রেকর্ড অনুসারে জেলার বিভিন্ন রাস্তাঘাটে নিবন্ধিত সিএনজি অটোরিক্সার প্রায় সাড়ে ২৮ হাজার। নতুন নিবন্ধনের আবেদন রয়েছে প্রায় হাজার খানেক। রাস্তায় অবৈধ ভাবে চলাচলকারী গাড়ীর বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষন করলে তিনি বলেন অভিযান পরিচালনার মত পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় সবসময় অভিযান পরিচালনা সম্ভব হয় না।

স্বল্প জনবল নিয়ে গত ফেব্র“য়ারীতে ১৩টি অভিযানে দায়িদের জেল জরিমানা করা হয়েছে। আমদানী করা প্রতিটি গাড়ীকে যথাসময়ে কেন রেজিষ্ট্রেশন দেয়া হয় না এমন প্রশ্নের উত্তরে এই কর্মকর্তা বলেন কত গাড়ী আমদানী করা হবে সেই বিষয়টি দেখেন বানিজ্য মন্ত্রনালয়। আর কতটি গাড়ী কোন রোর্ডে চালানোর অনুমতি প্রদান করবে তা নির্ধারণ করেন সড়ক পরিবহন মন্ত্রনালয় কর্তৃক গঠিত কমিটি। তার কাছে জানা যায়, সিএনজি গাড়ী রেজিষ্ট্রেশন দেয়া সংক্রান্ত যে কমিটি রয়েছে সেই কমিটিতে সদস্য সংখ্যা তিন। তাদের মধ্যে আছেন জেলা ম্যজিষ্ট্রেট, বিআরটিএ এর সহকারী পরিচালক ও বাস মালিক শ্রমিক গ্র“পের মহাসচিব। এই কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্তানুসারে রেজিষ্ট্রেশন প্রদান করা হয় সিএনজি অটোরিক্সার।

বতর্মানে চট্টগ্রামের বিভিন্ন সড়ক পথে হাজার হাজার সিএনজি অটোরিক্সা চলাচল করছে বিশেষ করে রাঙ্গামাটি ও কাপ্তাই সড়ক পথে এখন সিএনজি অটোরিক্সা চলাচল করে সবচেয়ে বেশি এতে নোয়াপাড়া ট্রাফিক পুলিশের একটি দল কাপ্তাই সড়কে মিয়ার ঘাটা থেকে মতলেবের টেক, এই এলাকার ভিতর অবস্থান করে বিভিন্ন গাড়ীর ডকুমেণ্ট চেক করলেও রহ্যসজনক কারনে অনিবন্ধিত সিএনজি অটোরিক্সা অবৈধ ভাবে অবাদে চলাচল করছে। কাপ্তাই সড়কে চলাচলরত পিছনে অনটেষ্ট সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে সিএনজি চালক বশির বলেছেন এই গাড়ী চালাতে ট্রাফিক পুলিশের প্রতি মাসে টেক্স টোকেন বাবদ ৬০০ টাকা পুলিশ ডিউটি নাকররে ৩০০টাকা গাড়িতে করে কোন ব্যবসায়ী সাক সবজী আনরে প্রতি গাড়ী ৫০টাকা করে দিতে হয়। নাদিলে গাড়ী আটকিয়ে রাখে তাই এসব টাকা দিয়ে গাড়ী চালছি।

অপর সিএজি চালক কাইয়ুমের অভিযোগ তিনি ৫বছর ধরে কাপ্তাই সড়কে গাড়ী চালান তাহার ড্রাইভীং লাইন্সেস ও গাড়ীর সব কাগজ পত্র ঠিক আছে তার পরেও নোয়াপাড়া ট্রাফিক পুলিশ গাড়ীধরে টাকা দাবি করে নাদিলে কাগজ পত্র নিয়ে যায় ২০০/৩০০শ টাকা দিলে কাগজ পত্র ফেরতদেয়। কাপ্তাই সড়কে পথেরহাট এলাকায় যানযট এড়াতে সিএনজি চালকদের মদ্যথেকে ২/৩জন ব্যক্তি দায়িত্ব পালন করছে। অপরদিকে নোয়াপাড়া ট্রাফিক পুলিশ নিজেদের দায়িত্ব পালনের চেয়ে মালামালের গাড়ী ধরা ও টাকা আদায়ে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.