রাজনীতি ও ইতিহাস চর্চা থেকে বিরত থাকুন: তথ্যমন্ত্রী

0

সিটিনিউজ ডেস্ক:: বিএনপির সঙ্গে সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা এক দশক ধরে ক্ষমতার বাইরে দলটি এবং তার প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সেনা শাসক জিয়াউর রহমানের প্রশংসা করায় নাখোশ সরকার। সরকারের মুখপাত্র তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সিইসিকে রাজনীতি ও ইতিহাস চর্চা না করার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সাংবিধানিক পদে থেকে কোনো ব্যক্তি ইতিহাস ও রাজনীতি চর্চা করতে পারেন না।’

মঙ্গলবার সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের নির্বাচন ও রাজনীতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

গত ১৫ অক্টোবর বিএনপির সঙ্গে অনুষ্ঠিত সংলাপে জিয়াউর রহমানকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রবক্তা বলে মন্তব্য করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর নানা ঘটনাপ্রবাহের ভেতর দিয়ে সেনাবাহিনীর প্রধান থাকা অবস্থায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হন জিয়াউর রহমান। উর্দি পড়া অবস্থাতেই তিনি নির্বাচন করেন। আর জন্ম দেন তার দল বিএনপির।

জিয়াউর রহমানের আমলেই স্বাধীনতাবিরোধীরা বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ পায়। একাধিক রাজাকারকে তিনি মন্ত্রিসভায় জায়গা দেন। চিহ্নিত স্বাধীনতাবিরোধী শাহ আজিজুর রহমানকে করেন প্রধানমন্ত্রী। জামায়াত নেতা গোলাম আযমকে দেন দেশে ফেরার অনুমতি।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের জন্য বরাবর তার কঠোর সমালোচনা করে আসছে আওয়ামী লীগ। উচ্চ আদালত থেকে একাধিক রায়ে জিয়াউর রহমানকে অবৈধ শাসকও বলা হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে সিইসির মুখে জিয়া ও তার দলের প্রশংসা ভালোভাবে নেয়নি সরকার ও আওয়ামী লীগ। মত বিনিময়ে এবিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবিধানিক পদে আসীন এমন কোনো ব্যক্তি ইতিহাস ও রাজনীতি চর্চা করবেন না। এই পদ বিতর্কিত হয় এবং নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে এমন কোনো উক্তি করবেন না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘জিয়া গণতন্ত্রের নয়, সামরিকতন্ত্রের প্রবক্তা। জেনারেল জিয়াউর রহমান অবৈধ ক্ষমতা দখল বৈধ করার কাজ করেছেন। খুন এবং খুনিদের হালাল করার কাজ করেছেন এবং রাজাকার আমদানি এবং পুনর্বাসনের কাজ করেছেন। জেনারেল জিয়াউর রহমানের শাসনকাল আদালত দ্বারা অবৈধ এবং অসাংবিধানিকত হিসেবে ঘোষিত করা হয়েছে।’

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.