জুবায়ের সিদ্দিকী :: রাখাইনে সেনাবাহিনীর দমনপীড়নের মুখে তিন লাখের বেশী রোহিঙ্গার বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার প্রেক্ষাপটে মিয়ানমারের উপর আর্ন্তজাতিক চাপ ক্রমশ বাড়ছে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী বাহিনী যেভাবে নির্যাতন করেছে সে দৃশ্য ভেসে উঠেছে। এ কথাগুলো বলেছেন আবুধাবী বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি আলহাজ্ব ইফতেখার হোসাইন বাবুল।
গত সপ্তাহে দেওয়া একান্ত সাক্ষাতকারে বাবুল বলেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা জনগনের উপর অমানবিক আচরন বন্ধ করে শরনার্থীদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। রোহিঙ্গাদের পাশে প্রধানমন্ত্রী দাঁড়িয়েছেন।
বাংলাদেশ মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আপনি জানেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নিরাপদে দেশে না ফেরা পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের পাশে থাকবে বাংলাদেশ। এটি একটি ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট। রোহিঙ্গা সমস্যা একটি আন্তর্জাতিক সমস্যাও। বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
বিশিষ্ট সমাজসেবক, সংগঠক ও আবুধাবী প্রবাসী কমিউনিটির সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব বাবুল বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে পরিকল্পিত ও ধারাবাহিকভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। সারাদেশে যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, শিক্ষা, কৃষি চিকিৎসা সেবা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নমুলক কর্মকান্ডে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
প্রত্যন্ত অঞ্চলে উন্নয়নের মাধ্যমে বদলে গেছে এলাকার চিত্র। বর্তমান সরকার আমলে অর্থনৈতিক জোন তৈরী করার মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান তৈরী হবে। মানুষের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে, জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে।
দেশের উন্নয়নের স্বার্থে দল মতের উর্দ্ধে থেকে আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। আমি মনে করি আওয়ামী লীগ প্রতিশ্রুতি নয়, বাস্তবায়নে বিশ্বাসী।
বিশিষ্ট সংগঠক বাবুল বলেন, আবুধাবীতে বাংলাদেশ দুতাবাসে পাসপোর্টের জন্য মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। এখন ঢাকায় পাঠাতে হয়। সময়ক্ষেপন হয়। এতে করে অনেকে সমস্যায় পড়েন। প্রবাসীরা জাতির দুর্দিনে দেশের মানুষের পাশে অতীতে ছিলাম ভবিষ্যতেও থাকব।
বাবুল বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে সিডিএ পরিকল্পিতভাবে এগুচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক।
এখন সিডিএ, সিটি কর্পোরেশন, ওয়াসা ও পিডিবির সমন্বয়ে কাজের অগ্রগতি হবে বলে আমার বিশ্বাস। প্রবাসীদের চেনামুখ ও রাজনীতিক ইফতেখার হোসেন বাবুল বলেন, আমি মনে করি, চট্টগ্রামের যারা নীতি নির্ধারক আছেন, ব্যবসায়ী-শিল্পপতি আছেন, সামাজিক সংগঠন আছে সকলকে দলমত নির্বিশেষে দলীয় রাজনীতির সংকীর্নতার উদ্ধে উঠে চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য, চট্টগ্রামের মানুষের ভবিষ্যতের জন্য সকলের প্রয়াসকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। আমি মনে করি, আগামীর চট্টগ্রাম হবে আগামীর বাংলাদেশের ভবিষ্যত। রাজনীতি হোক সুস্থ ও সন্ত্রাসমুক্ত।
পরমত ও সমমতের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা থাকবে। সুস্থ ধারার গনতন্ত্র দেশে প্রতিষ্টিত হোক প্রবাসীরা সবসময় কামনা করে। গনতন্ত্র এগিয়ে চলুক। সে গনতন্ত্রের মধ্য দিয়ে আমাদের আগামীর প্রজন্মকে সত্যিকারভাবে এগিয়ে যেতে পারবে। বিশ্বের বুকে আমরা সম্ভাবনার দেশ হিসেবে স্বীকৃত। আগামীর দিনগুলোতে অর্থনৈতিকভাবে অগ্রযাত্রা সামাজিক শান্তি প্রতিষ্টা গনতন্ত্রের স্থিতিশীলতা, সাংবাদিধানিক প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্র পরিচালনার মধ্যে দিয়ে বিশ্বের বুকে আমরা মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবো। শেখ হাসিনা নতুন করে বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্টিত করেছেন। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
প্রবাসে আমরা দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার লক্ষ্যে কাজ করছি। বিশিষ্ট দানবীর, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার কৃতি সন্তান, সংগঠক ও প্রবাসীদের অপনজন ইফতেখার হোসাইন বাবুল বলেন, প্রবাসে আমরা বাংলাদেশি হিসেবে এখন গর্ববোধ করতে পারছি। আজ মিয়নমারের বর্বরতায় বাংলাদেশে মানবিকতার যে দৃষ্টান্ত পৃিথবীকে দেখিয়ে দিয়েছে তা অত্যন্ত বিরল। ওপারে সহিংসতা, এপারে মানবতা। এ এক বিশাল কর্মকান্ডের মাধ্যমে অসহায় ও নির্যাতিত মানুষের পাশে বাংলাধেম পৃথিবীকে আমরা জানান দিয়েছি। আমরা মানুষ মানুষের জন্য। আমাদের সরকার যে উদারতা, মায়ামমতা, সাহায্য করছেন তা অত্যন্ত জোরালোভাবে প্রশংসিত হচ্ছে জাতীসংঘ সহ সারাবিশ্বে। আমাদের মুল্যবোধ, মনুষ্যত্ব, মানবিকতা, উদারতা আজ পৃথিবীর মানুষের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা শরনার্থীদের দেখতে যাওয়া ও সকল প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করায় গোটা বিশ্ব এখনা প্রশংসা করছে বাংলাদেশে।